গতকাল সোমবার ঈদুল আযহার ফিরতি ট্রেনের খুলনার থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে ঈদ পরবর্তী দিন ১৪ আগস্ট-এর টিকিট বিক্রি হয়। ঈদ উদযাপন শেষেই যারা কর্মক্ষেত্রে ফিরতে চান তারা এ দিনে ফিরতেন। আগামী ১১ আগস্ট স্পেশাল ট্রেনটি ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে আসলেও ওইদিনই ফিরবে যাত্রী শূন্য গাড়ি। তবে ঢাকা-খুলনা রুটের চিত্রা ও সুন্দরবন ট্রেনে যুক্ত হচ্ছে বগি।
খুলনা রেল স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জানান, ৫ আগস্ট থেকে ঈদ পরবর্তী ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু করা হয়েছে। একই ভাবে ৬ আগস্ট যারা টিকিট সংগ্রহ করেছেন তারা পেয়েছেন ১৫ আগস্টের টিকিট। ৭ আগস্ট ১৬ আগস্টের, ৮ আগস্ট ১৭ আগস্টের এবং ৯ আগস্ট ১৮ আগস্টের ট্রেনের অগ্রিম ফিরতি টিকিট দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে খুলনায় একটি স্পেশাল ট্রেন আসবে। আগামী ১১ আগস্ট সকালে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি আসলেও ফিরবে যাত্রী শূন্য। তবে চিত্রা ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে তিনটি করে বগি যুক্ত হবে। গত ৬ আগস্ট এই বগিগুলো যুক্ত হয়েছে। এতে যাত্রীদের চাহিদা কিছুটা মিটানো সম্ভব হয়েছে। ফিরতি টিকিট অনলাইনে অর্ধেক এবং বাকি অর্ধেক সংশ্লিষ্ট রেল স্টেশনগুলোতে পাওয়া যাচ্ছেবলে তবে কোনো যাত্রীকেই ট্রেনের ছাদে এবার উঠতে দেওয়া হবে না বলে রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রেল সূত্রে জানা গেছে, রেলে প্রতিদিন ২ লক্ষ ৭৭ হাজার মানুষ চলাচল করলেও ঈদের সময় তা বেড়ে প্রায় ৪ লক্ষে দাঁড়াবে। ঈদের ১০ দিন আগে এবং ঈদের পর ১০ দিন পর্যন্ত ট্রেনে ভিআইপিদের জন্য সেলুন সংযোজন করা হবে না। এছাড়া আগামী ১১ ও ১৪ আগস্ট ঢাকা-কলকাতা-ঢাকার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করবে না। ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত যাত্রী চাহিদা মেটানোর জন্য এক হাজার ৪৩৭টি যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এদিকে আসন স্বল্পতার কারণে যেসব যাত্রীরা ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারেনি। তাদের সুবিধার্থে ঈদযাত্রার শুরু হওয়ার দিন থেকে প্রতিটি ট্রেন ছাড়ার দুইঘণ্টা আগে ৩০ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে আন্তঃনগর-সহ চারটি স্পেশাল ট্রেনে দেওয়া হবে স্ট্যান্ডিং টিকিট।। তবে কোনো যাত্রীকেই ট্রেনের ছাদে এবার উঠতে দেওয়া হবে না বলে রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।