চলতি বছর ১০ মাসের মধ্যে দেশে ১২টি হালকা ও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্পে তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আরও বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এদিন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের সিলেট জেলাও কেঁপে ওঠে। ৩.৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
নয় দিন পর, 25 ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে দুটি মাঝারি ভূমিকম্প আঘাত হানে। বাংলাদেশের কক্সবাজারের পাশাপাশি দেশের আয়াওয়াতি ও রাখাইন রাজ্যেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ঢাকার আগারগাঁও থেকে ৩৭৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৪.১।
গত ৩০ এপ্রিল ৪ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চট্টগ্রাম। ৫ মে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এটি ঢাকা শহরের কেন্দ্র থেকে 30 কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে দোহায় উদ্ভূত হয়েছে।
এক মাস পরে, 5 জুন, বঙ্গোপসাগরে একটি 3.9 মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের কাছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নাঞ্চলে।
গত ১৬ জুন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল সিলেটের গোলাপগঞ্জ, এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫।
গত ১৪ আগস্ট সিলেটে আবারও ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায়ও এর প্রভাব পড়েছে। উৎপত্তিস্থল ছিল আসামের মেঘালয়, গভীরতা ৩৫ কিমি। ছিল। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব উত্তর-পূর্বে 228 কিমি।
২৯ আগস্ট সিলেট মহানগরীতে আবারও মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। এর তীব্রতা ছিল 3.5 দশমিক। উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মেঘালয় রাজ্যের জৈন্তাপুর।
৯ সেপ্টেম্বর সিলেট ও এর আশপাশের এলাকায় ৪.৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তি ভারতের আসামে। ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে টাঙ্গাইলে ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থল ছিল টাঙ্গাইল সদর, ঢাকা থেকে ৫৯ কিলোমিটার দূরে। এর অবস্থান ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে 5 কিলোমিটার গভীরে।
২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৫.২।
গত শনিবার ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। এমতাবস্থায় ভূমিকম্প সংক্রান্ত বিপর্যয় থেকে জানমাল রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, ভূমিকম্প প্রস্তুতি এবং ভূমিকম্পের পর উদ্ধার, ত্রাণ ও পুনর্গঠন কার্যক্রম পরিচালনা করা।