ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে আল্টিমেটাম দিয়েছে ইসরাইল। তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের ১০ মার্চের মধ্যে ফিরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে রাফাহ আক্রমণ করবে ইসরাইল। এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ। খবর Haaretz
গাজার দক্ষিণে জনাকীর্ণ রাফাতে কখন ইসরায়েলি সৈন্যরা প্রবেশ করবে তার প্রথম স্পষ্ট ঘোষণা। তবে বিশ্বজুড়ে জনমত এই হামলার বিরুদ্ধে শক্তিশালী। অন্যদিকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি এই যুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই এই যুদ্ধ শেষ হলে বন্দি বিনিময়ের সুযোগ তৈরি হবে। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে তিনি ফিলিস্তিনি জনগণ সম্পর্কে মৌলিক সত্য এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাদের অধিকার ও অন্যায় হত্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কাতার যে ভূমিকা নিয়েছিল, সেই একই ভূমিকার কথা বলেছেন তিনি।
তিনি এই যুদ্ধের অবসান চান। কিন্তু ইসরায়েল ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিরোধিতা করে। তিনি বলেন, যেকোনো চুক্তি হতে হবে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে। কিন্তু তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে একতরফা স্বীকৃতির বিরোধিতা করে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতিক্রমে এটি অনুমোদন করেছে।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেতানিয়াহু এ কথা বলেন। এর ফলে নেতানিয়াহু বার্তা দিয়েছিলেন যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যাই বলুক না কেন ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করবে। তবে নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যেতে পারে।