সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, তার দেশ ধীরে ধীরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে এগোচ্ছে। সৌদি আরব ও ইসরাইল দিন দিন কাছাকাছি আসছে। তবে সৌদি আরব ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করলে তা হবে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি অবিচার, বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, মার্কিন সম্প্রচারকারী ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ এ কথা বলেন। তিনি এমন সময়ে এই মন্তব্য করেছেন যখন উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।
আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করে আসছে। এমতাবস্থায় সৌদি আরব ফিলিস্তিন সংকটের সমাধানকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। দেশটি পারমাণবিক সক্ষমতাও অনুসন্ধান করছে।
সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘আমরা কোন পথে যাচ্ছি সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তবে আমরা আশা করি এটি আমাদের এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাবে যা ফিলিস্তিনিদের জীবনকে সহজ করে তুলবে এবং ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।’
সে সময় তিনি ইরান সম্পর্কে বলেছিলেন, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র পায় তাহলে সৌদি আরবেরও অস্ত্র থাকা উচিত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার প্রধান মিত্র ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য সৌদি আরব ও অন্যান্য আরব দেশগুলোর ওপর চাপ দেওয়ার ঠিক আগে তার মন্তব্য এসেছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ইসরায়েলের ইহুদিবাদী শাসকদের সঙ্গে এ অঞ্চলের দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে। ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের প্রতিরোধ আন্দোলনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হিসাবে বিবেচিত হবে।”