রাজধানীতে বৃষ্টির সময় বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী ও রামপুরা এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে রয়েছে খিলগাঁও রিয়াজবাগ এলাকায় রিকশা গ্যারেজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত রাকিব (২৫), খিলগাঁও সিপাহীবাগে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মরিয়ম বেগম (৪৫) একটি টিন স্পর্শ করার পর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। যাত্রাবাড়ীতে দেয়াল।

সোমবার তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মৃতদের মধ্যে মরিয়মকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। নাহিদ নামের এক যুবক জানান, রাত ৯টার দিকে খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ আইসক্রিম লেনে মক্কা টাওয়ারের কাছে সড়কে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মরিয়ম নামের এক নারীর মৃত্যু হয়। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় হাঁটু পানি জমেছে। সেখানে কোনো বিদ্যুতের লাইন পড়ে গেছে বা কোনো বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে বলে তাদের ধারণা। আর সেখান থেকেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ওই নারী।

তিনি জানান, বৈদ্যুতিক শক লেগে ওই নারীকে পানিতে পড়ে থাকতে দেখে তিনি ও স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কয়েকদিন পর একই স্থানে একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে বলে তিনি দাবি করেন।

মরিয়মের ছেলের বন্ধু তুহিন জানান, মরিয়মের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলায়। খিলগাঁও মেরাদিয়া কাবরিস্তান লেনে পরিবারের সঙ্গে থাকেন। তিনি স্থানীয় একটি পোশাকের দোকানে কাজ করতেন। রাতে কাপড় খুলে বাসায় ফিরুন। এরপর ছেলে ইয়ামিনের খোঁজে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে।

এদিকে রাকিবকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার সহকর্মী খোকন মিয়া জানান, রাকিবের বাড়ি ঝালকাঠির কাঁথালিয়া উপজেলায়। তিনি খিলগাঁওয়ের ৬ নম্বর রিয়াজবাগের একটি রিকশা গ্যারেজে থাকেন। তারা ওই এলাকায় রিকশা চালায়। রাতে বৃষ্টির কারণে তার রিকশার গ্যারেজে পানি জমে যায়। ওই পানিতে রিকশা রেখে ব্যাটারি চার্জ করছিলেন রাকিব। চার্জার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।

অপরদিকে লিসার বোন জানান, লিসা আক্তার যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার দরবার শরীফ সামেদ ভূঁইয়ার বাড়িতে থাকে। বাড়ির পাশের টিনের দেয়ালে স্পর্শ করতেই তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে রাত সাড়ে ১০টায় তাকে ডিএমকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লিসা নোয়াখালী জেলার চরজব্বার উপজেলার মো. সিরাজ খানের মেয়ে।

ডিএমকে হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, সব লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানায় খবর দেওয়া হয়েছে।

Nitya Sundar Jana is one of the Co-Founder and Writer at BongDunia. He has worked with mainstream media for the last 5 years. He has a degree of B.A from the West Bengal State University.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.