নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। যেভাবেই হোক নির্বাচন হতে হবে। অন্যথায় সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হবে। সেই পার্থক্য সৃষ্টি হলে দেশে নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরি হবে। নির্বাচন কমিশন এটা করতে দিতে পারে না।
আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির প্রয়োজন। তবে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। ভোটার তালিকার মতো করে ভোটকেন্দ্রও করতে হবে।
যারা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ব্যালট কেনার জন্য ক্রয় কাগজ প্রয়োজন। নির্বাচন করার জন্য আপনার বাক্সের প্রয়োজন হবে, আপনাকে সেগুলি কিনতে হবে, আপনার কালি লাগবে। সুই-সুতো সহ অনেক ধরনের জিনিস লাগবে। এখন নির্বাচন ডিসেম্বরে হবে নাকি জানুয়ারিতে হবে সেটা ভিন্ন বিষয়। যখনই আপনি একটি পছন্দ করবেন, আপনাকে আগে থেকেই প্রস্তুত করতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমেরিকা আসবে না, সে কথা বলেননি। আসলে, আমরা আমেরিকায় সুখী। আমরা বললাম সবাই আসুন। প্রয়োজনীয় যোগ্যতা, সব শর্ত পূরণ করলে সবাই আসতে পারবে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সার্কভুক্ত দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পূর্ণাঙ্গ দল না পাঠালেও অন্যান্য অনেক দেশও পাঠিয়েছে। সার্কভুক্ত দেশগুলোকে (আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা) নির্বাচন কমিশন আমন্ত্রণ জানাবে।
রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের পথে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংকট রয়েছে। কোনো দলই বলছে না যে তারা নির্বাচন চায় না। আমরা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, আমরা বলিনি কোনো দল নির্বাচন চায় না। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি না কেন?