তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হলেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি ঢাকা-১৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
নতুন মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীদের দপ্তর ভাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগের মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যও নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। এমনকি তাদের কারও কারও আগের দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয়েরও পরিবর্তন হয়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি শপথ বাক্য পাঠ করান। সাহাবুদ্দিন। আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে এর যোগ্য মনে করেছেন। সে কারণেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শপথ গ্রহণকালে তিনি আগের মতোই মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নিয়োগ ও পদ বণ্টনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন মন্ত্রিসভা গঠন সম্পন্ন হয়। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ ও পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে শপথ গ্রহণের আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মেহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন।
৩৭ সদস্যের এই মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বিদায়ী মন্ত্রিসভার ১৭ সদস্যকে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ নতুন মন্ত্রিসভায় ১৯ জন নতুন মুখ। আগের মন্ত্রিসভার ১৪ মন্ত্রী, ১২ জন প্রতিমন্ত্রী ও ২ জন উপমন্ত্রী বহিষ্কৃত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মোহাম্মদ এ. আরাফাত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। এরপর ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ৪৮ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।