সংগৃহীত ছবি


ভারতের অশান্ত মণিপুরে ফের কারফিউ জারি করা হয়েছে। ভোর ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ইম্ফলের পূর্বাঞ্চলে কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তাৎক্ষণিকভাবে কারফিউ শিথিল করা হয়।

জি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পাঁচ গ্রামরক্ষীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তার মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার মণিপুরের বিভিন্ন উপত্যকার স্থানীয় মহিলারা হঠাৎ থানায় হামলা চালায়। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ হাজার হাজার বিক্ষোভকারী পশ্চিম ইম্ফলের সিনজামেই থানায় জড়ো হয়।

এরপরই স্লোগান দিতে দিতে একদল উত্তেজিত জনতা থানার দিকে এগিয়ে আসে। পরে মণিপুর পুলিশ ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স তাকে থানার ৫০০ মিটার আগে বাধা দেয়। এর পরপরই কারফিউ জারি করা হয়।

প্রসঙ্গত, মণিপুরে যখন ২ জন মহিলাকে গণধর্ষণ করে নগ্ন করে প্যারেড করার ভিডিও প্রকাশ্যে আসে, তখন সারা ভারতে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ৪ মে মণিপুরের কাংপোকপি জেলায়।

ভাইরাল ভিডিওর পর দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান। বিরোধীদের লাগাতার দাবির মধ্যে অবশেষে মণিপুর ইস্যুতে মুখ খুললেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এ ঘটনায় ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতিত দুই নারীর একজন কার্গিল যোদ্ধার স্ত্রী বলেও জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, মণিপুর প্রায় ৪ মাস ধরে মেইতি ও কুকি দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত। মণিপুরের সবচেয়ে বড় সম্প্রদায় হল মাইতেরা। মোট জনসংখ্যার 53 শতাংশ নারী। তারা প্রধানত ইম্ফল উপত্যকায় বাস করে।

অন্যদিকে কুকি ও জো মানুষ পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করে। কুকিজ সংরক্ষণ অধিকারের জন্য Meiteid এর দাবির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। কারণ, মাইতেরা যদি সংরক্ষণের আওতায় আসে, তবে তারা বনাঞ্চলে প্রবেশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। প্রথম সংঘর্ষ হয় ৩ মে। এরপর থেকে অশান্তির আগুনে পুড়ছে মণিপুর।

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.