বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া কোনো অপরাধ নয়। এটা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদির বলেন, দলের নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতৃত্বের ওপর আস্থা হারিয়ে হতাশ।
এ কারণে দলটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা নির্বাচনে অংশ নেন। তাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানেই ২৯টি নিবন্ধিত দল অংশগ্রহণ করেছে। বিএনপির ভুল নীতির জন্য দলের নেতাদের দায়ী করে তিনি বলেন, বিএনপির কর্মীরা হতাশ। তারা আওয়ামী লীগ নয়, তাদের নেতাদের নিয়ে হতাশ।
কারণ বিএনপি নিজেই ভুল নীতি গ্রহণ করেছে। এ কারণে তারা আজ বিভক্ত। কোনো দল ভেঙে দেওয়া আওয়ামী লীগের নীতি নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির চলমান এক দফা দাবি গভীর খাদে পড়ে গেছে। তাদের আন্দোলন ভ্রান্তির বালিতে আটকে আছে। এখন আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন। বিএনপি এখন আন্দোলন করতে পারবে না।
দেশের মানুষ ভোট দিতে আগ্রহী উল্লেখ করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, কিছু দল নির্বাচনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলেও জনগণ নির্বাচনমুখী। আন্দোলনের নামে কোনো কোনো দল নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছে, এখনো ঠেকাতে চায়। কিন্তু বালিয়াবাসী বিজয় মাহ-তে নবশক্তিকে ভোট দিতে আগ্রহী। তারা বিএনপির বিরোধিতা করবে।
নির্বাচন কমিশন এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার এখন নিয়মিত কাজ করবে। আওয়ামী লীগ আমাদের বিরুদ্ধে হলেও কমিশনের পদক্ষেপের প্রশংসা করবে। নির্বাচন কমিশন এখন সারাদেশে নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনো ঘটনা সংক্রান্ত প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা রাখে। নির্বাচন কমিশনের যেকোনো সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের আস্থা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে কোথাও কোনো সংঘাত বা বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে তার ব্যবস্থা নেওয়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ মেনে নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-জনপ্রশাসন সম্পাদক ড. এবং প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপসচিব সাইম খান, নির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হুসেন, নির্মল চ্যাটার্জি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।