হাউস অফ লর্ডসের সদস্য লিসেস্টারের ব্যারনেস সন্দীপ ভার্মা বাংলাদেশে ক্ষমতার ক্রান্তিকালে হিন্দুসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের কাছে প্রতিক্রিয়া চেয়েছেন।

কেয়ার স্টারমারকে পাঠানো চিঠিতে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নৃশংস হামলা হয়েছে; ধর্মীয় উপাসনার স্থান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়; ব্যারনেস ভার্মা তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সম্প্রদায়ের সংস্থাগুলির কাছ থেকে শুনেছেন যে পুলিশের পদক্ষেপের অভাবের ফলে নিরপরাধ লোকদের উপর ‘অকথ্য সহিংসতা’ করা হচ্ছে।

ব্যারনেস সন্দীপ ভার্মা চিঠিতে আরও লিখেছেন, “এই অপরাধের অবিলম্বে নিন্দা করা উচিত, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ইউনূসকে আইন ও আদালতের পূর্ণ শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দিয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। যাও।” এই জঘন্য অপরাধের বিচার চাই।”

ব্যারনেস ভার্মা আরও লিখেছেন যে যদিও বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ঠ মিত্র, তবুও হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নিপীড়ন ও হামলা চলতে দেওয়া যাবে না এবং বিষয়টি অবিলম্বে উচ্চ পর্যায়ে উত্থাপন করা দরকার।

তিনি প্রধানমন্ত্রী স্টারমারকে বলেন, “ব্রিটেনের হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মতো আমিও আপনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।”

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর থেকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের বাড়িতে হিন্দুদের পাশাপাশি হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। ,

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.