জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে জোরালো সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (সেক্টর অ্যান্ড থিম) ফাতিমা ইয়াসমিন এ সহায়তা চান। খবর বাস
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক ড. নজরুল ইসলাম শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তা পড়ে শোনান। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং জনগণের অন্তর্ভুক্তিমূলক অগ্রগতি। কারণ সরকার গ্রামীণ জনগণের উন্নয়নে বিশেষ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টকে বলেন, দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর তার সরকারের মনোযোগ রয়েছে। কারণ এটি শিল্পায়ন সম্প্রসারণ এবং অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।
শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন, কৃষি, নদী খনন ও পুনরুদ্ধারের মতো ক্ষেত্রে এডিবির কাছে সহায়তা চেয়েছেন। তিনি এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টকে আরও জনকেন্দ্রিক প্রকল্প শুরু করার আহ্বান জানান – যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ উপকৃত হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী 1996-2001 সালে বেসরকারী খাতে বিভিন্ন শাখা খোলার, এটিকে বৃদ্ধি ও পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তাঁর সরকারের উদ্যোগের উল্লেখ করেন। ফলে কর্মসংস্থানের প্রসার ঘটছে।
ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশ এডিবির শীর্ষ অগ্রাধিকারের দেশগুলোর একটি এবং ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে এডিবির সহায়তা পাঁচ গুণ বেড়ে ৩.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আরও জানান যে এডিবি নদী পুনরুদ্ধার, নদীভিত্তিক পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র এবং সেচের মতো প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী। কারণ এটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, মানবিক ও সামাজিক উন্নয়ন, কারিগরি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বিএএস।