তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ বলেন, আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খুবই ভালো এবং আমাদের সঙ্গে এই সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। হাসান বলেন, ‘আপনি দেখেছেন, জো বাইডেন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তুলেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে নিউইয়র্কে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জো বিডেন নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর সাথে একটি ছবির জন্য পোজ দিয়েছেন, ছবিটি নিজের পক্ষে কথা বলে, আমরা ভিসা নীতিকে পাত্তা দিই না।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুর ১০ গোলচত্বর সংলগ্ন সড়কে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির বিভিন্ন হাহাকার খালি কলসির মতো। ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় নিয়ে সরকার গঠন করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি বলেছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর সরকার টিকে থাকবে সর্বোচ্চ তিন মাস। আমরা পাঁচ বছর সরকার পরিচালনা করেছি।
2018 সালের নির্বাচনের পর তিনি বলেন, এই সরকারকেও উৎখাত করা হবে। এখন বিএনপি’র দড়ি ভেঙ্গে গেছে। অর্থাৎ মির্জা ফখরুল সাহেব ও তার নেতারা এখন যা বলছেন তা খালি কলসির মতো।
তিনি বলেন, ‘আজ অনলাইনে দেখলাম বিএনপি নেতারা বলেছেন ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ঘেরাও করে সরকার উৎখাত করা হবে। আমরা বিএনপিকে ঘেরাও করতে প্রস্তুত। তারা নৈরাজ্য ছড়াতে চাইলে আমরা বিএনপিকে ঘেরাও করব।
আমরা তাদের ঘেরাও করে মারব না, আমরা তাদের শিক্ষা দেব। দেশে অরাজকতা ছড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের কোণঠাসা করা হবে।
ভিসা নীতির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফখরুল সাহেব বলেছেন, ভিসা নীতি নিয়ে তার আন্দোলন তীব্র হয়েছে। তিনি জানেন, ভিসা নীতিমালায় বলা হয়েছে, যারা নির্বাচন বানচাল করেন তাদের ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযোজ্য হবে। যাদের ওপর ভিসা নীতি কার্যকর হয়েছে তাদের মধ্যে বিরোধী দলের নেতারাও রয়েছেন বলে ফখরুল সাহেব জানেন না। জানলে এ কথা বলতেন না।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কাকে ভিসা দেয় আর কাকে না দেয়, সেটা তাদের ওপর নির্ভর করে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের এই ভিসা নীতি ছিল। তারা তাদের ভিসা নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এটা নতুন কিছু নয়। তাই এই ভিসা নীতি একটি আলাদা বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আর যুক্তরাষ্ট্র অনেক দেশের ওপর ভিসা নীতি চাপিয়ে দিয়েছে। তারা নাইজেরিয়ার উপর ভিসা নীতি চাপিয়েছে, সরকারের কিছুই হয়নি। কম্বোডিয়ায় আবেদন, সরকারের কিছুই হয়নি। তারা উগান্ডার ভিসা নীতিও বাস্তবায়ন করেছে, সরকারের কিছুই হয়নি। কিউবার ভিসা নীতি 50 বছরেরও বেশি সময় ধরে কার্যকর ছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 100 মাইলের মধ্যে কিউবানদের সাথে কিছুই ঘটেনি। তাই এই ভিসা নীতি নিয়ে হৈচৈ সৃষ্টির কোনো কারণ নেই।
কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করে তিনি বলেন, এ দেশ বঙ্গবন্ধুর দেশ। এদেশের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা কোনো রক্তপাতের পরোয়া করেন না। নেতা-কর্মীদের বলব, আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, আওয়ামী লীগ সংগ্রামের দল। বুকে পাথর রেখেছি ২১ বছর। এদেশে গণসংগ্রামের কাফেলার নেতৃত্ব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এ কারণে আওয়ামী লীগ কোনো কিছুর পরোয়া করে না।
আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে দলের নেতৃবৃন্দ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান প্রধান অতিথি ছিলেন এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান, অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. ছিলেন প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল। হোসেন মায়া, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বক্তব্য রাখেন।