ঢাকা শহরের রিকশা ও রিকশা চিত্র জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বুধবার ইউনেস্কোর অন্তর্মুখী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক আন্তঃসরকার কমিটির ১৮তম অধিবেশনে এই স্বীকৃতি ঘোষণা করা হয়। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জামদানি বয়ন শিল্প, শীতল পাটি বয়ন শিল্প, বাউল গান এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার পর প্রায় ছয় বছরের ব্যবধানে ‘ঢাকা রিকশা ও রিকশা পেইন্টিং’ বাংলাদেশের পঞ্চম অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
এই স্বীকৃতির ফলে গত আট দশক ধরে চলে আসা রিকশা পেইন্টিং ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা আপনাকে বলি যে এই চিত্রকর্মটির নিবন্ধন এবং স্বীকৃতির প্রক্রিয়াটি গত ছয় বছর ধরে চলছে, তবে এটি প্রথম প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিল। যাইহোক, ২০২২ সালে পুনরায় নথি জমা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে, সম্পূর্ণ নথিটি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় নতুন করে প্রস্তুত করা হয়।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এই অর্জনকে বাংলাদেশের জন্য একটি বিরল সম্মান বলে বর্ণনা করেছেন। নিবন্ধন ও স্বীকৃতি প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর এবং প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসকে অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশের রিকশা পেইন্টিং ইউনেস্কোর অক্ষয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্য, মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত এবং শতাধিক দেশের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি এই চিত্রকর্মের বৈচিত্র্যময় অভিব্যক্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই অর্জনের মধ্য দিয়ে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্যের মুকুটে আরেকটি পালক যুক্ত হয়েছে। চলতি বছরের ১৫ নভেম্বর ইউনেস্কোর ৪২তম সাধারণ পরিষদের সভায় বাংলাদেশ ইউনেস্কোর নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়। ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের অব্যাহত সাফল্যকে বাংলাদেশের কূটনৈতিক অগ্রগতি বলে অভিহিত করেছে সংশ্লিষ্ট মহল।