সারারাত ঘুমহীন উত্তেজনা কাটিয়ে রাত পোহালো ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। কালকের রাতটা এতটাই দীর্ঘ ছিল যে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সকাল হতে বোধ হয় অনেকটাই দেরি হল।
আজ চূড়ান্ত পরীক্ষা। পরীক্ষা ওনাদের যারা ছেলেবেলা থেকে ইস্টবেঙ্গল কে মনেপ্রানে ভালোবেসে এসেছেন। পরীক্ষা তাদের যারা গত 10 বছর ধরে ইস্টবেঙ্গলের খেলা আই লিগ-এ দেখছেন দশটা আঙ্গুলে শক্ত করে মুঠি পাকিয়ে, আঙ্গুলের ডগা গুলি রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে সাদা হয়েছে কিন্তু জয়ের দৌড়গোড়াই গিয়ে বার বার ফিরে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। বারবার ব্যর্থ মনোরথ হয়ে এবারও আশা নিয়ে অধীর আকুল হয়ে বসে। তারা বারবার দেখেছেন যে শেষের বেলাটা কোনদিনই তাদের হয়নি।বারবার মন ভেঙেছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের।এরকম নয় যে প্লেয়াররা খুব খারাপ খেলেছেন এর আগে তিনবার আই লিগের দ্বিতীয় স্থান এবং তিনবার তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিল ইস্টবেঙ্গল।তবে পরিসংখ্যান বলছে শনিবার দিনটা ইস্টবেঙ্গল এর জন্য শুভ।
সুতরাং তীরে এসে তরী ডোবার অভিজ্ঞতা ইস্ট বেঙ্গল সমর্থকদের আগে থেকেই আছে এবারও না জিতলে যে ইস্টবেঙ্গল এর প্রতি ভালোবাসা কমে যাবে তা নয় কিন্তু দলটি এত ভালো খেলে ভাগ্য দেবতার একটু সহায় পেতেই পারে।
আজ যে দিকে মিনেরভা পাঞ্জাবের মুখোমুখি হচ্ছে চেন্নাই ঠিক সেই সময় ইস্টবেঙ্গল তাদের আওয়ে ম্যাচ খেলবে গোকুলাম এর সাথে। ইস্টবেঙ্গল শুধু জিতলেই লীগ জিতবে এমনটা নয় তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে চেন্নাই এবং মিনার্ভার খেলার দিকে যেখানে চেন্নাই কে পয়েন্ট নষ্ট করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
কি বলছে ভাগ্য ? আশায় কি বুক বাঁধতে পারেন ইস্টবেঙ্গল প্রেমীরা ?
ইস্ট বেঙ্গল সর্মথকরা অবশ্য তৈরি, তারা তৈরি সবকিছুর জন্য। একদিকে যেমন ইস্টবেঙ্গলের কিছু সমর্থক তাদের দলকে উদ্বুদ্ধ করতে কেরল উড়ে গিয়েছেন অন্যদিকে হাজার হাজার সমর্থক সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন যাতে শেষের বেলায় ভাগ্য দেবতা যেন তাদের সহায় থাকেন।
ইস্টবেঙ্গল তৈরি এবং তৈরি তাদের ফ্যানেরা। ক্লাবের প্রাঙ্গণে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়েছে কোয়েস গ্রুপ। যারা কেরল যেতে পারেননি তাদের দলকে সমর্থন জানাতে তারা আজ ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে আসবেন একসাথে খেলা দেখবেন আর আশা করবেন যে তদের দল আজ ইতিহাস সৃষ্টি করবে ।
আরও পড়ুনঃ
আমরা ইস্টবেঙ্গল – ইস্টবেঙ্গল সেনানী। এবার এনরিকের স্কেচ বানালেন এক ফ্যান