বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে ভাল উপায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা । কারনেই দেশ জুড়ে চলছে ঘোষিত ২১ দিনের লক ডাউন । রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার কঠোর থেকে কঠোরতর হচ্ছেন সর্বতভাবে লকডাউন যাতে সফল হয় । কিন্তু এই ২১ দিনের লকডাউনের ফলে বিপুল বাণিজ্যিক ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে । অনুমান করা হচ্ছে সেই অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৯ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছে যেতে পারে ।
সারা দেশ জুড়ে চলছে অলিখিত কারফিউ তথা লকডাউন । করোনা মোকাবিলা করার জন্য এর থেকে ভাল উপায় এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে নেই । কিন্তু এই দীর্ঘ দিনের লকডাউনে ভেঙ্গে পড়তে পারে ভারতীয় অর্থনীতি । ক্ষতির পরিমাণ আশঙ্কা করা হচ্ছে ৯ লক্ষ টাকার কাছাকাছি যেতে পারে, যা জিডিপির ৪ শতাংশ। এই কারনেই আগামী দিনে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে পারে ভারত, এমনটাই আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
করোনার আগেই ভারতের অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষেরা বিপুল অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে দিয়ে চলছিলেন । তারপর প্রধানমন্ত্রী ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে । লকডাউনের দিনগুলিতে লেনদেন একেবারে বন্ধ থাকবে। ফলে আর্থিক বৃদ্ধিও থাকবে থমকে। ব্রিটিশ সংস্থা বার্কলেসের হিসাব অনুসারেও ভারতের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে ১২০ বিলিয়ন ডলার। আর্থিক বৃদ্ধির হার কমতে পারে ১.৭ শতাংশ থেকে ৩.৫ শতাংশ। আর এই তিনসপ্তাহের লক ডাউনে দেশের আর্থিক ক্ষতি পারে প্রায় ৯০ বিলিয়ন ডলার।
এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি সামলাতে বিশাল চাল পড়বে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উপর । অনেকেই ধারনা করছেন এপ্রিল মাসের রিভিউয়ের পর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ০.৬৫ শতাংশ করে সুদের হার কমাতে পারে।এই পরিস্থিতিতেই অর্থনৈতিক মহল থেকে বারবার বলা হচ্ছে, সরকারের উচিত অবস্থা সামাল দিতে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার স্বাস্থ্য খাতে ব্যায় বৃদ্ধি বাদ দিয়ে আলাদা করে আর কোনও আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেনি। ফলে এই মন্দার থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে পাচ্ছে না বাণিজ্য মহল।
এদিকে লকডাউনের ফলে ট্রেন, বিমান, হোটেল, পর্যটন, ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস, কারখানা – সব বন্ধ। দেশ জুড়ে তালা। অর্থনীতি এমনিতেই ধুঁকছিল। ২১ দিনের শাটডাউনের ধাক্কায় এবার তা ধরাশায়ী হওয়ার আশঙ্কা। একটি সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, ২১ দিনের লকডাউনের জেরে দেশে প্রায় ৯ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে । অর্থনীতি উপরে উঠলে ধাক্কা সামাল দেওয়া যেত। কিন্তু, এমনিতেই ধুঁকছিল। ফলে এই ধাক্কায় লুটিয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে । অর্থনীতিবিদ সুমন মুখোপাধ্যায়ের মতে, প্রতিদিন ৬০ হাজার কোটি টাকার লস হচ্ছে। ফলে এখন আশঙ্কা একটাই, করোনার হাতে না মরলেও, ভাতে মরতে হবে না তো?