বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: এবার আবহাওয়ার বিরূপতা জন্য ঠিকমত ফসল হয়নি । কৃষক ফসল ফলাতে পারলেও অতিরিক্ত বৃষ্টি অথবা অনাবৃষ্টির জন্য বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলি । সারা ভারতবর্ষের কোথাও কোথাও অতিবৃষ্টির জন্য বন্যা সৃষ্টি হয়েছে, আবার কোথাও কোথাও অনাবৃষ্টির জন্য চাষী ঠিকমতো ফসল ফলাতে পারেনি ।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নির্ভর করে মূলত চাহিদা ও যোগানের উপর ভিত্তি করে । যদি চাহিদা বেশি থাকে এবং যোগান কম থাকে তাহলে জিনিসপত্রের দাম অবশ্যই বাড়বে । আবার এর উল্টোটা হলে জিনিসপত্রের দাম কমবে । কাঁচা শাকসবজি এবার ঠিক মত উৎপাদন হয়নি । অপরদিকে পুলিশি জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ট্রাক ধর্মঘট । যার ফলে যেটুকু ফসলের যোগান আছে, সেটাও ঠিক মতো বাজারজাতকরণ করা যাচ্ছে না । যার পরিপ্রেক্ষিতে হু হু করে বাড়ছে কাঁচা শাক-সবজির দাম ।
এটা শুধু আমাদের রাজ্যে নয়, ভারতবর্ষের বেশ কয়েকটি রাজ্যে এরকম দুর্দশা দেখা দিয়েছে । বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই মূল্য বৃদ্ধির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে । অত্যধিক বৃষ্টি এবং যোগান কম হওয়ার কারণে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে সবজির দাম। গত কয়েকদিন ধরেই এই মূল্যবৃদ্ধি চোখে পড়ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। তবে এবার মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।পঞ্জাব এবং হরিয়ানার মত রাজ্যে পেঁয়াজ এবং আলুর দাম গিয়ে ঠেকেছে প্রায় দ্বিগুনে।
শুধু তাই নয় একইসঙ্গে পেঁয়াজ,ফুলকপি, বিন এই সকল সবজি ও দাম গিয়ে ঠেকেছে আকাশে। কেবল মাত্র পঞ্জাব ও হরিয়ানাই নয়, পাশের রাজ্য হিমাচল প্রদেশের অবস্থাও এক বলে জানাচ্ছেন সেখানকার বিক্রেতারা। এই দুই রাজ্য এবং এদের যৌথ রাজধানী চণ্ডীগড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে সবজিপত্রের দাম এতটা বেড়ে যাওয়াতে স্বভাবতই অবাক সেখানকার বিক্রেতারা। এক সপ্তাহ আগে যেখানে এই সকল আনাজপত্র বিক্রি হত ২০-২৫ টাকায়। সেখান থেকে এতটা বেড়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে সাধারণ মানুষের। পেঁয়াজের মূল যে জায়গা অর্থাৎ মহারাষ্ট্র এবং উত্তরের রাজ্য থেকে আমদানি করা হয়, সেই সকল জায়গা থেকে আমদানির হার কমে যাওয়াতে প্রভাব এতটা চড়া হারে পড়ছে বলে জানাচ্ছেন সেখানকার বিক্রেতারা।