বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ এখনও ভারতে স্টেজ-২ ধাপে রয়েছে করোনা সংক্রমণ । কিন্তু যেঁ কোন মুহূর্তে যে কারও অসতর্কতায় পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হতে পারে । এবার করোনা মোকাবিলায় আরও একধাপ এগিয়ে গেল দেশ । সারা দেশে আরও নতুন বারটি বেসরকারি গবেষণাগারে করোনা সংক্রমণ হলে করা যাবে পরীক্ষা । কেন্দ্র থেকে সব কিছু দেখার পর অনুমোদন দেওয়া হল ।
করোনা ভাইরাস তার থাবা আরও বড় করছে ভারতের মত জনবহুল দেশে । কিন্তু ভারতে এত জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও এর আগে কেবল পুণের নাইসেডেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হত। ফলে একদিকে যেমন পুণের নাইসেডের উপর ধীরে ধীরে প্রবল চাপ বাড়ছিল, অপর দিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে নমুনা আসছিল তার রিপোর্ট পেতেও দেরি হচ্ছিল । এবার থেকে ভারতের পাঁচটি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট বারটি বেসরকারি গবেষণাগারকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পরীক্ষা করার অনুমোদন দিল কেন্দ্র । ফলে আগের থেকেই আরও দ্রুত করোনা ভাইরাস চিহ্নিত করা সম্ভব হবে ।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত ১২ টি ল্যাবকে করোনা ভাইরাস তথা কোভিড-১৯র পরীক্ষা করার অনুমোদন দিয়েছে । বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে মহারাষ্ট্র সবার আগে । সেখানে মোট ৫ টি বেসরকারী ল্যাবে এবার করা যাবে করোনা পরীক্ষা ।
মহারাষ্ট্রসহ অন্যান্য স্থানে যে ল্যাবগুলি অনুমোদন পেয়েছে, সেগুলি হল –
- দিল্লি- লাল প্যাথ ল্যাবস
- গুজরাত- ইউনিপ্যাথ স্পেশ্যালিটি ল্যাবরেটরি লিমিটেড
- হরিয়ানা- স্ট্যান্ডার্ড লাইফ সায়েন্সেস এবং এসআরএল লিমিটেড
- কর্নাটক- নেবুবার্গ আনন্দ রেফারেন্স ল্যাবরেটরি
- মহারাষ্ট্র- থারোকেয়ার টেকনোলজিস, সাব-আর্বান ডায়গনস্টিকস (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেড, মেট্রোপলিস হেলথ কেয়ার লিমিটেড, শ্রী এইচ এন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, এসআরএল লিমিটেড
- তামিলনাড়ু- ডিপার্টমেন্ট অফ ক্লিনিকাল ভাইরোলজি, ডিপার্টমেন্ট অফ ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস।
এদিকে করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । প্রধান মন্ত্রীর ডাকা ধর্মঘটে সাড়া মিলেছে দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে । জানা গেছে, গত সপ্তাহে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যে জরুরী বৈঠক বসেছিল সেখানে আরও ল্যাব বা পরীক্ষাগার স্থাপনের কথা বলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই ১২ টি বেসরকারি পরীক্ষাগারের মধ্যে বাংলায় একটাও নেই বলে জানা গেছে । আশা করা হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাতেও এই ধরনের ল্যাবের অনুমোদন পাওয়া যাবে ।