চাঁদের মহিমান্বিত নির্জনতা বিজ্ঞানীদের কল্পনার চেয়েও অনেক বেশী আর্দ্র। সম্পতি চাঁদের বুকে আচমকা আছড়ে পড়ল একটি উল্কাপিণ্ড যার ফলে চাঁদের ভূমি চিরে ফোয়ারার মতো বেরিয়ে এলো জলকণা।
চাঁদের ধুলো ও বায়ুমন্ডলের ব্যাপারে খোঁজ করতে চাঁদে পাঠানো নাসার একটি মহাকাশযান ‘ল্যাডি’ চাঁদের ভূমি থেকে জল বের হওয়ার লক্ষণগুলি তুলে ধরেছে যা আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার-জিওসায়েন্সে’ -এ গবেষণাপত্রটি বের হয়েছে। এই ‘ল্যাডি’ নামক মহাকাশযানটির পুরো নাম হল ‘লুনার অ্যাটমস্ফিয়ার অ্যান্ড ডাস্ট এনভায়রনমেন্ট এক্সপ্লোরার’।
নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গ্রহবিজ্ঞানী অধ্যক্ষ মেহেদি বেননা বলেন, “মহাকাশযানের যন্ত্রটি স্পঞ্জের মতো কাজ করেছিল, “যখন গবেষকরা যন্ত্রটি চালু করে, তখন তারা যা দেখতে পান তা অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ ছিল।”
এই আবিষ্কারটি চাঁদ কীভাবে গঠিত হয়েছিল তা বোঝার জন্য নতুন সূত্র উপস্থাপন করে এবং ভবিষ্যতের মানব মিশনগুলির জন্য তাৎক্ষণিক লক্ষ্যমাত্রা সরবরাহ করে যা একদিন চাঁদের জলদস্যুতা এবং প্রজনন উভয়ের জন্য চাঁদের জলদস্যু ব্যবহার করতে পারে।
মেহেদি বেননা বলেন, “আমরা সবসময় চাঁদকে খুব শান্তিপূর্ণ ও নির্জন স্থান হিসাবে মনে করি। এখন এই তথ্য দিয়ে আমরা দেখতে পাই যে চাঁদ আসলেই খুব সক্রিয় এবং প্রতিক্রিয়াশীল।”