একসময় প্রবাদ ছিল ভাতে মাছে বাঙ্গালী। ভাত থাকলেও মাছ প্রায় নেই বললেই চলে। আর যদি তা হয় জাতীয় মাছ ইলিশ। একটু পুরাতন ব্যক্তিদের সাথে ইলিশের গল্প বললেই শোনা যায় সে কি ইলিশ ছিল। ইলিশ না পেলেও বাঙালিদের কাছে ইলিশ জনপ্রিয় মাছ। এছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, আসাম, ত্রিপুরাতেও একটি জনপ্রিয় মাছ এই ইলিশ। ২০১৭-এ বাংলাদেশের ইলিশ মাছ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

ইলিশ জনপ্রিয় মাছ যেমন তেমনি ইলিশকে ঘিরে গড়ে উঠেছে ব্যবসায়ের এক বিশাল সম্প্রদায়। ইলিশের জন্য সবচেয়ে বড় মার্কেট চাদপুর। ইলিশের বাজার হিসাবে চাঁদপুর অন্যতম। বছরের এ সময়ে পা ফেলারও জায়গা পাওয়া যায় না চাদপুরের সবচেয়ে বৃহৎ ইলিশের বাজার বড়স্টেশন আড়তে। পাইকারি ও খুচরা দরে ইলিশ কিনতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদপুরের এ বাজারে আসেন ক্রেতারা। দম ফেলার ফুসরত মেলে না বিক্রেতাদেরও। পাশাপাশি ইলিশের দামও থাকে তুলনামূলক কম। তবে এ বছরের এ সময়ে তেমন ভিড় দেখা যায়নি চাঁদপুরের বড়স্টেশন ইলিশের আড়তে। কমেনি ইলিশের দামও।

গত বুধবার ১৪ আগস্ট বড়স্টেশন আড়তে বড় আকারের অর্থাৎ এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায়, মাঝারি আকারের ইলিশ ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজির কম ওজনের ইলিশ কেজিপ্রতি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায়, আর ছোট আকারের অর্থাৎ ৫০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রামের নিচে পর্যন্ত ইলিশ কেজিপ্রতি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। অন্যান্য বছর এ সময় ইলিশের এ বাজারে পা ফেলার জায়গা থাকে না। দামও থাকে কম। তবে এ বছর এখন বাজারে মাছও নেই তেমন, নেই লোকও। আর মাছ কম থাকায় দামও যাচ্ছে চড়া। জানা যায় ইলিশ যা আসছে চাহিদার তুলনায় তা অনেক কম। জেলেদের জালেও কম ইলিশ ধরা পড়ছে। সামনে জেলেরা সাগরে গেলে যদি ইলিশ ধরা পড়ে তাহলে দাম কম থাকতে পারে। সাগরে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা থাকায় মাছ অপেক্ষাকৃত ধরা পড়েছে আবার সামনে নিষেধাজ্ঞা আসছে।

কুরবানি ঈদের সময় স্বাভাবিক ভাবে মাছে দাম কম থাকে কিন্তু এ বছর দামটা অনেক বেশী।

Mr. Shuva is a News and Content Writer at BongDunia. He has worked with various news agencies all over the world and currently, he is having an important role in our content writing team.

Leave A Reply