বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ বিশ্বে চীনা আগ্রাসন কোন ভাবেই মেনে নিতে চাইছে না হাবেভাবে আমেরিকা সেটাই বারবার প্রকাশ করছে । সীমান্ত নিয়ে ভারতের সাথে ইতিমধ্যে চীনের সংঘাত শুরু হয়েছে । এই সংঘাতের সুযোগে চীনা আগ্রাসন ঠেকাতে  পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত করতে চলেছে ট্র্যাম্প ।

জানা গেছে, চীনের সাথে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় ভারত ইতি মধ্যে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে । ভারতীয় সেনাবাহিনী একদিকে যেমন নিজেদের অস্ত্র সম্ভার বাড়িয়েই চলেছে, তেমনি সীমান্তে শক্তি প্রদর্শন করতেও ছাড়ছে না । ইসরায়েল সরাসরি আগেই ভারতের পক্ষে যোগ দেবার কথা ঘোষণা করেছে । এবার মার্কিন নৌবাহিনীর ইউএসএস নিমিতজ (Nimitz) আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপকূল অঞ্চলে ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে অনুশীলন শুরু করছে ।ইউএসএস নিমিতজ (Nimitz) এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বড় রণতরী ।

সাগরে চীনা আধিপত্য খর্ব করতে আমেরিকার মত ভারতীয় নৌবাহিনীও মহড়া শুরু করেছে । চীনকে সাড়াশির চাপে ফেলতে  ইতিমধ্যেই ভারতের হাত শক্ত করতে মালাক্কা জলপ্রণালী হয়ে ভারত মহাসাগরে উপস্থিত রয়েছে নিমিতজ।মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার মাঝে একটি সরু অংশ গোটা বিশ্বের কাছে  গুরুত্বপূর্ণ ‘চোক পয়েন্ট’ ।কারন এখান থেকেই   যথেষ্ট পরিমাণ তেল এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এমনকি চিনেও যায়। ভারত-আমেরিকার নৌ মহড়ার সাথে জাপানের নৌবাহিনীও মহড়া শুরু করেছে ।  ভারত-জাপান এই অনুশীলন “প্যাসেক্স বা পাসিং এক্সারসাইজ নামে পরিচিত।

চিনের প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ জানাতে এবং হুমকি মোকাবিলায় ইউএসএস নিমিতজ-এর নেতৃত্বে রণতরী যাচ্ছে ভারত মহাসাগরে।  দক্ষিণ চিন সাগর থেকে আন্দামানে আসছে নিমিতজের এয়ারক্র্যফট কেরিয়ার যা যুদ্ধে ইউএসএস থিয়োডোর রুসভেল্টের অংশ ছিল। ফিলিপাইন সাগরে ডুয়াল-কেরিয়ার অপারেশন চালিয়েছে দু’জনই। মার্কিন নৌবাহিনীর সঙ্গে জানানো হয়েছে, “আঞ্চলিক শক্তির প্রতি দায়িত্বের প্রদর্শন এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরে মোকাবিলার ক্ষমতা এবং যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতিতে মুখোমুখি হওয়ার প্রচেষ্টা থেকেই’ এমন অপারেশন করা হয়েছে।

এই মুহূর্তে চিনের বিরুদ্ধে আমেরিকা, ফ্রান্স, জাপান, অস্ট্রেলিয়া যেভাবে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, এটাই সুবর্ণ সুযোগ দক্ষিণ চিন সাগর ও ভারত মহাসাগরে চিনের আধিপত্য খর্ব করার। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানা গেছে, কিছু মাসের মধ্যেই ভারত-অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে কাজ করবে । শক্তিশালী এই সব দেশ ভারতের পাশে থেকে যেভাবে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে, তাতে শত্রু চিনকে ঠেকাতে আর কোনও ফাঁক রাখতেই চাইছে না ভারত। ভারত মহাসাগরের প্রত্যেকটা দিক কার্যত বন্ধ করে দিতে চাইছে ভারতীয় নৌসেনা। কোনও দিক থেকেই শত্রুরা প্রবেশ করতে পারবে না।

Kajal Paul is one of the Co-Founder and writer at BongDunia. He has previously worked with some publishers and also with some organizations. He has completed Graduation on Political Science from Calcutta University and also has experience in News Media Industry.

Leave A Reply