বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্যে করোনা সংক্রমণের নিরিখে সবচেয়ে উপরে অবস্থান করছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা । চলতি মাসে কলকাতাকে টপকে সংক্রমণের হার উত্তর ২৪ পরগনায় সবথেকে বেশি । এই অবস্থায় উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রন করার জন্য ফের একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করার চিন্তা করেছে প্রশাসন ।
উত্তর ২৪ পরগনার করোনা পরিস্থিতি কোনভাবেই নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হচ্ছে না । মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত নিয়ন্ত্রনে আনতে বারাসতে জেলা শাসকের দফতরে বিশেষ প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জেলা শাসক চৈতালী চক্রবর্তী, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা । সেখানেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে ।
জেলা শাসকের দপ্তরে আলোচনা সভায় স্থির হয়েছে, খুব শীঘ্রই উত্তর ২৪ পরগনার বরানগর, কামারহাটি, টিটাগড়, বারাকপুর, গারুলিয়া ও কাঁচরাপাড়া এলাকায় সেফ হোম চালু করা হচ্ছে । প্রতিটি সেফ হোমে ৩০ থেকে ৪০ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেবে রাজ্য সরকার । রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলা শাসকের দফতরের প্রশাসনিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, “বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় সেফ হোম তৈরী আছে, স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি পেলেই তা চালু করা হবে ।”
এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দিয়েছেন, আগস্ট মাসের মত সেপ্টেম্বর মাসেও রাজ্য কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে । আপাতত আগামি মাসে তিন দিন লকডাউনের কথা ঘোষণা হলেও পরে আলোচনা করে অন্যান্য দিনের কথা জানিয়ে দেওয়া হবে ।
এদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে নাজুক । মূলত উত্তর ২৪ পরগনার করোনা পরিস্থিতি যাতে দ্রুত নিয়ন্ত্রনে চলে আসে, আক্রান্তরা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন তা নিয়ে মঙ্গলবারের প্রশাসনিক বৈঠকে আলোচনা হয় । উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন পুরসভা এলাকা গুলিতে শীঘ্রই জনগণের চিকিৎসার জন্য সেফহোম পরিষেবা চালু করা হচ্ছে । ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পুরসভা এলাকায় সেফহোমের পরিষেবা চালু হয়েছে । অন্যান্য পুরসভা এলাকায় যাতে দ্রুত সেফহোম পরিষেবা চালু করা যায়, তা এদিনপর বৈঠকে আলোচনা করা হয়।