বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আমফান ক্ষতিপুরনের টাকা নয় ছয় করার অভিযোগ আসছে ভুরি ভুরি । এবার আমফান দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করে নিলেন দুর্নীতি হয়েছে, সেটি ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ক্ষতিপুরন করতে গিয়েই । পাশাপাশি সেই আমপান-ক্ষতিপূরণ বিতর্কে এ বার বাম জমানার সঙ্গে নিজের সরকারের তুলনা টানলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর অভিযোগ, বাম আমলে কেউ কিছু পেতেন না। তৃণমূল সরকার মানুষের পাশে বেশি থাকছে বলেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এত সমালোচনা হচ্ছে।
এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতির কথা পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিলেও পাশাপাশি এটাও জানিয়েছেন, তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে জেলাশাসকের তালিকায় থাকা নাম দেখতে পাননি উপভোক্তারাই। তাঁর কথায়, ‘তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে অনেকে দেখতে পায় না। আমারটা বাদ হয়ে গিয়েছে বলে আগে থেকে চিত্কার করতে থাকল, কাকে কান নিয়ে গেল।”
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই বিরোধী দল থেকে শুরু করে সাধারন মানুষ আমফানের ক্ষতিপুরনের টাকা নিয়ে অভিযোগ-বিক্ষোভ করে আসছে । কোথাও কোথাও ক্ষতিপুরনের টাকা নিয়ে দুর্নীতি করার অভিযোগ মেনে নিয়ে টাকা ফেরত দেবার ব্যবস্থাও করা হয়েছে । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের লোকজনদের এই দুর্নীতি নিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ।
এদিন অবশ্য মমতা বলেন, যে সব প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত আর্থিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের থানায় অভিযোগ দায়ের করতে । তিনি এ দিন জানান, ৪০ হাজার অভিযোগ-আবেদন পেয়েছে সরকার। তার মধ্যে ২৬ হাজারের নাম ডিএম-এর তালিকাতেই ছিল । মমতার কথায়, ” ছ’হাজার বাতিল হয়েছে। কারণ, তারা মিথ্যা আবেদন করেছিল। ছ’হাজার আমরা নতুন করে করছি। যাচাই করে দেখেছি, তারা সত্যিই বঞ্চিত হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে ক্যাম্প করে দিয়ে দেওয়া হবে।”
তবে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের শাসনকালের সাথে বাম-জমানার শাসনকালের তুলনা করেন । তিনি বাম সময়কার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘কাজটা তাড়াতাড়ি করতে গিয়েছিলাম বলেই কিছু ভুলভ্রান্তি হয়েছে। কেউ কেউ এর সুযোগ নিয়েছে। এই সংখ্যাটা ০.৫ শতাংশ। সেটা নিয়ে কেউ কেউ এমন গরুর রচনা করেছে। আমি আবার বলি, এই জন্যে বামফ্রন্ট আমলে কাউকে কিছু দিতই না। আমরা সঙ্গে সঙ্গে করি বলে আমাদের বিরুদ্ধাচারণ করাটা ঠিক নয়।”