বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ আগামী ২০২১ সালে বিধানসভা নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক প্রচার ।সম্প্রতি শাসক দল তৃনমূলে করা হয়েছে ব্যাপক রদবদল । এই রদবদলের পর গতকাল শুক্রবার ছিল তৃণমূলের কোঅর্ডিনেশন কমিটির প্রথম বৈঠক । প্রথম বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত না থাকায় ফের রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা উসকে উঠেছে ।
বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে প্রতিটি দল তাদের রননীতি গুছিয়ে নিচ্ছে । একদিকে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নেতারা দিল্লী উড়ে যাচ্ছেন বৈঠকে যোগদিতে, অন্য দিকে শাসকদল তৃণমূলও ঢেলে সাজাচ্ছে তাদের সাংগঠনিক পরিকাঠামো । শুক্রবার ছিল শ্বাসকদল তৃণমূলের কোঅর্ডিনেশন কমিটির প্রথম বৈঠক । প্রথম বৈঠক, অথচ সেখানে উপস্থিত নেই শুভেন্দু অধিকারী ! এই হিসাব মেলাতে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে ।
সম্প্রতি তৃনমূলের সংগঠন আরও শক্তিশালী করতে করা হয়েছে রদবদল । সেখানে মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণার পাশাপাশি একটি ২১ জনের কমিটি গড়ে দেন। সেটিই কোঅর্ডিনেশন কমিটি। সাংগঠনিক কাজ দেখভালের দায়িত্ব মূলত ওই কমিটির উপরে থাকবে বলেই জানানো হয়। সেই কমিটির থেকে সাত জনকে নিয়ে আবার স্টিয়ারিং কমিটি গড়ে দেন তৃণমূলনেত্রী। ওই স্টিয়ারিং কমিটি হল কার্যত রাজ্য স্তরের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি। শুভেন্দু অধিকারীকে দু’টি কমিটিতেই রাখা হয়েছে।
আগে শুভেন্দু অধিকারী জেলা পর্যবেক্ষকের পদে ছিলেন । কিন্তু সেই পদ তুলে নেওয়ায় শুভেন্দুর দায়িত্ব অনেকটাই কমে গেছে ।কারণ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের যেসব পর্যবেক্ষকরা নানা জেলার দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদের তুলনায় তার অধীনে জেলার সংখ্যাও ছিল বেশি। দলের ওই সিদ্ধান্তের পরই শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠমহলের বক্তব্য ছিল, ‘দাদাকে দল মর্যাদা দিল না। দায়িত্বও দিল না। সামনেই ২০২১ বিধানসভার নির্বাচন। এতে দলের ক্ষতি হবে।’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, দলে ভারসাম্যের কথা বলা হলেও কার্যত শুভেন্দুকে ক্রমে কোনঠাসা করে দেওয়া হয়েছে। ৭ জনের স্টিয়ারিং কমিটিতে তাঁকে রাখা হলেও পৃথক ভাবে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। বাকি পদগুলিতেও একজন সদস্য ছাড়া আলাদা কোনও ক্ষমতা নেই সাংগঠনিক ভাবে। তাই এদিন শুভেন্দুর অনুপস্থিতি জল্পনা অনেকটাই উস্কে দিল।