বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ক্রিকেটার হিসেবে শহীদ আফ্রিদি একটি জনপ্রিয় নাম । খুব অল্প বয়সেই পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে ভিন্ন সময়ে পাকিস্তানের নানা রকম রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এবং ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলছেন আফ্রিদি। এমন কি, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ হওয়া নিয়েও পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সুরে সুর মিলিয়ে কাশ্মীরের পাশে দাঁড়িয়েছেন আফ্রিদি। পালন করেছেন কাশ্মীর সলিডারিটি দিবসও ।
পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বর্তমান প্রধান মন্ত্রী ইমরান খানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে, পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কি শাহিদ আফ্রিদি ? এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে আলোচনা ।আলোচনাটি শুরু হয়েছে একটি টুইটকে ঘিরে । সম্প্রতি টুইটারের ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, পাকিস্তানের সেনা মুখপাত্র আসিফ গফুর ও প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আছেন । সেই আলিঙ্গনরত দুই জনের ছবি শেয়ার করেছেন পাক নেটিজেনরা । শুধু শেয়ার ক্রেই ক্ষান্ত হননি তারা, কেউ লিখছেন, আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৈরি হচ্ছেন কি শাহিদ আফ্রিদি? কেউ আবার লিখেছেন, ইনি প্রধানমন্ত্রী হলে মোদীর মুখে আজাদ কাশ্মীর ছুড়ে মারবেন।
Next PM in the making? pic.twitter.com/nM5gflM4Ji
— Nida Khan Yousufzai (@NidaYousufzai) September 14, 2019
পাকিস্তানের অনেকেই অবশ্য এতে অবাক হচ্ছেন না । কারন বেশ কিছু পাকিস্তানি মানুশের মনে হয়েছে, এ জল্পনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না । পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সুরে সুর মিলিয়ে কাশ্মীরের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং দাঁড়াচ্ছেন শহিদ আফ্রিদি। পায়ে হেঁটে ইমরান খানের মিছিলে গলা তুলে প্রতিবাদ করেছেন কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ।
নিজের দেশের মানুষের খবর ঠিকঠাক মত রাখতে না পারলেও, কাশ্মীরের মানুষের উপর অত্যাচার হচ্ছে বলে সারা পাকিস্তান জুড়ে জনমত গঠনের চেষ্টা করে চলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ।শুধু নিজের দেশের মধ্যে নয়, সারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে তিনি ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ জানানোর জন্য ছুটে গিয়েছেন । অনেকবার অনেকবাবে চেষ্টা করেও কোনও ভাবেই কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে বিপদে ফেলতে পারছেন না ইমরান খান ।
ইমরানের এই চেষ্টাতে পাশে থাকতে চাইছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় ক্রিকেটার শহিদ আফ্রিদি । একজন রাজনৈতিক নেতার মত তিনি শুধু মিছিলে হাঁটছেন না, খোলা মঞ্চ থেকে পাকিস্তানিদের একত্রিত হওয়ার ডাক দিয়েছেন । কেন বারবার মুসলিম সম্প্রদারের উপরই এমন অন্যায়-অবিচার করা হচ্ছে ? ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি শুধু কাশ্মীরের সমস্যা নয় , সমগ্র মুসলিম জাতির সমস্যা বলে জানিয়েছেন ।তাই তিনি সমস্ত মুসলিমদের একত্রিত হওয়ার ডাক দিয়েছেন । তিনি বলেছেন, সারা বিশ্বে যেখানেই মানুষের উপর অন্যায়-অবিচার হবে পাকিস্তানিরা সোচ্চার হবে, প্রতিবাদ করবে। তাঁর এই ‘প্রতিবাদী কণ্ঠ’ই কি তাঁকে রাজনীতির ময়দানে এগিয়ে দিচ্ছে? কারন এর আগে আফ্রিদিকে এ ধরনের ভূমিকায় কেউ দেখেনি । উপরন্তু, পাক সেনা মুখপাত্রের সঙ্গে আলিঙ্গনের ছবি ভাইরাল। সব মিলিয়ে জল্পনা বাড়ছে, আগামী দিনে শাহিদ আফ্রিদির প্রধানমন্ত্রীর পদে বসা নিয়ে ।