বেশী দামি কিছু জিনিস কেনার ক্ষেত্রে একটা প্রবাদ আমাদের সকলের মুখে প্রচলিত আছে, “টাকা কি গাছে ধরে?” উত্তরে আমরা সবাই’ই হাসতে হাসতে না বলি। কিন্তু গাছে টাকা না ধরলেও সোনা ধরে, এমনটাই দাবি রাখলেন অস্ট্রেলিয়া’র গবেষকগণ।
অলংকার তৈরির ক্ষেত্রে সোনার জুড়ি মেলা ভার। প্লাটিনাম সোনার চেয়েও দামি হওয়া স্বত্বেও সাধারণ মানুষের কাছে সোনা’ই অধিক কদর পেয়ে থাকে। কিন্তু দিন দিন কমে যাচ্ছে সোনার পরিমাণ! একারণে গবেষকরা বর্তমানে সোনার খনি খুঁজতে ব্যস্ত। এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া’র গবেষকরা এক নতুন তথ্য আবিষ্কার করলেন যা সোনা খোঁজার কাজ আরও সহজ করে দেবে।
বিগত ৪০ এর দশকেই এমন ধারণা করেছিলেন বিজ্ঞানীরা, কিন্তু বাস্তবে তা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি বলে জানা গেছে। অবশেষে ২০১৯ সালে এই আবিষ্কারের অন্তিম ফল পাওয়া গেলো।
অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু গবেষকগণ মিলে তথ্যটি সত্য বলে প্রমাণ করেন। এই তথ্য অনুযায়ী যেসকল গাছের শেকড় মাটির অনেক নীচে পৌঁছায়, তাদের পাতা বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যাবে মাটির নীচে ভূ-গর্ভে ঠিক কোন খনিজ পদার্থ আছে।
বিজ্ঞানীদের দাবি অনুযায়ী, কোনো গাছের পাতায় যদি ০.১৫ পি.পি.বি. (পার্টস/বিলিয়ন) পরিমাণ স্বর্ণের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে বোঝা যাবে সে মাটির নিচে কোনো স্বর্ণের খনির অস্তিত্ব নেই। তবে এই পরিমাণ যদি ৪ হয়, তবে নিশ্চিত যে উক্ত গাছের নীচে সোনার খনি রয়েছে।
পরীক্ষা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা অস্ট্রেলিয়ার একটি স্বর্ণখনির ওপরে থাকা ইউক্যালিপটাস গাছের পাতা, বাকল ও কাণ্ড পরীক্ষা করেন। সেই গাছের পাতা থেকে তারা ৮০ পি.পি.বি. স্বর্ণের অস্তিত্ব পান। এবং খনি থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরের একটি গাছের পাতায় ৪ পি.পি.বি. স্বর্ণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
বিজ্ঞানীরা জানান যে সোনা ছাড়াও অ্যান্টিমনি, বিস্মাথ এবং আরও বেশ কিছু ধাতুর খনির অস্তিত্বও পাওয়া সম্ভব।