ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ফুল চন্দনের সাথে ধূপকাঠির ব্যবহার আদি অনন্ত প্রচলন। নিজেদের ভক্তি ঈশ্বরের কাছে দেখানো ছাড়াও ধূপের সুগন্ধে তৈরি হয় এক অদ্ভুত মায়াজাল। কিন্তু সেই মায়াজাল প্রতিদিন প্রতিনিয়ত কুরে কুরে আপনার শরীরের ক্ষতি করে যাচ্ছে সেটা আপনি জানেন কি? কথাটা আচমকা হলেও সত্যি – গবেষণা রিপোর্ট সেকথা বলছে।
গবেষণা করে দেখা গেছে ধূপের ধোঁয়া শরীরের কোষে জেনেটিক মিউটেশন ঘটাতে পারে এবং এর ফলে আমাদের শরীরের কোষের ডিএনএ এর গঠনের এমন কিছু বদল ঘটাতে পারে যার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক গুন বেড়ে যায়। ধূপকাঠি তে সিগারেটের মতো নিকোটিন থাকেনা একথা ঠিক, কিন্তু ধূপকাঠির সাথে মেশানো থাকে বিভিন্ন সুগন্ধি এসেনশিয়াল অয়েল এবং কাঠের গুঁড়ো। ফলে ধূপকাঠি যখন পোড়ানো হয়, তখন তার সাথে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে বেশ কিছু রাসায়নিক কণা। ল্যাং ক্যান্সার, শিশুদের লিউকোমিয়া এবং ব্রেন টিউমারের সাথে সম্পর্কিত এই রাসায়নিক কণাগুলি।
যাদের ফুসফুসজনিত সমস্যা আছে বা শ্বাসকস্ট আছে তাদের ধূপের গন্ধে বেশিক্ষণ না থাকাই ভালো। গবেষণাটি বলছে শুধু টাই নয়, শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদেরও এই ধোঁয়া থেকে দূরে থাকা উচিত। শুধু ধূপকাঠির ধোঁয়া নয়, রান্না বা অন্যান্য ধোঁয়াও শিশুদের ফুসফুসের গঠনের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।