১৯৪৭-এ দেশ স্বাধীন ও বিভক্ত হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের সাথে ভারতের সংঘর্ষ এতোটুকুও কমেনি। দুই দেশের ও সারা বিশ্বের শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে আপাতদৃষ্টিতে বেশ কয়েকবার ভারত পাকিস্তানের সাথে সমঝোতা ও মৈত্রীর সম্পর্কে হাত বাড়িয়ে দিলেও প্রতিবার’ই যুদ্ধনীতি লঙ্ঘন করে ও শান্তি বিঘ্নিত করে পাকিস্তান মনে করিয়ে দেয় যে দুই দেশের এই বিবাদ চিরন্তন, ভারত কখনই তাদের বন্ধু হতে পারেনা।
এরই উৎকৃষ্ট নিদর্শন হিসেবে উরি জঙ্গি হামলা এবং তার পরপর’ই পুলওয়ামা হামলা চালায় পাকিস্তান।
তবে এবার আর ভারত সরকার পাকিস্তানের এহেন নোংরা আচরণের পর তাদের সাথে কোনও আপোষ করতে চাইছেনা। তারই ফলস্বরূপ শুল্ক বৃদ্ধি, পাকিস্তান সীমান্তে জল আটকে দেওয়া, সন্ত্রাস দমননীতি প্রভৃতি বিভিন্ন উপায়ে ভারত সরকার পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে।
এরই মধ্যে সম্প্রতি জানা যায় যে, ভারতের ভুমিতে পাকিস্তান তাদের গুপ্তচর মোতায়েন করে রেখেছে, এবং তারাও সকলে ভারতেরই বাসিন্দা।
গত রবিবার রাজস্থানের জয়সলমীর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আই এস আই এর এজেন্ট নবাব খান‘কে। ৩৬ বছর বয়সী এই ব্যক্তি রাজস্থানের জয়সলমীরের গঙ্গা সেটলমেন্ট এলাকার বাসিন্দা। ভারতে থেকে প্রতিনিয়ত ভারতীয় সেনাবাহিনী’র গোপন তথ্য সে পাকিস্তানে প্রেরণ করতো বলে জানা গেছে।
রাজস্থানের এ ডি জি উমেশ মিশ্র জানিয়েছেন যে, ধর্মীয় কারণে মা-বাবার সঙ্গে পাকিস্তানে যায় নবাব এবং তখনই তার এক আত্মীয়ের মারফত আই এস আই-এর সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়।আই এস আই-এর তরফ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্বন্ধে তথ্য পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ ছিল নবাবের কাছে।
বিশেষ করে, পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার পর আরও বেশি তথ্য চাওয়া হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।
পাকিস্তান থেকে মূলত ফোনে যোগাযোগ রাখা হত নবাবের সঙ্গে, কথা হত সাংকেতিক ভাষায়। সাধারণ ফোন কলের থেকে বেশি ব্যবহার করা হত হোয়াটস অ্যাপ এবং ভয়েস কল।
ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে নবাব ও তার মা-বাবার অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকা আসত এই কাজের পরিনামস্বরূপ।
গোপনসুত্রে খবর পেয়ে নবাবের ওপর নজরদারি শুরু করে গোয়েন্দা সংস্থা, এবং নিশ্চিত হওয়ার পর গত রবিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার ফোন’টিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।