বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ সারা রাজ্য জুড়ে ডিজিটাল রেশন কার্ডের কাজ চলছে । মানুষ এবার ধীরে ধীরে বুঝতে পারছে ডিজিটাল রেশন কার্ডের সুফল । এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রেশনিং ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার কথা ঘোষণা করা হল । বঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী শ্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘোষণা করলেন, এবার থেকে আর পরি সপ্তাহে রেশনের জিনিস কেনার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না, প্রতি মাসে একবার সময় দিলেই চলবে ।
একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, প্রতি সপ্তাহে বেশ কিছুটা সময় ব্যয় করতে হয় রেশনের মাধ্যমে ভর্তুকির জিনিস কিনতে । বাড়ির বয়স্ক সদস্যদেরই বেশিরভাগ সময় রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় । এবার ডিজিটাল রেশন কার্ড ব্যবস্থা চালু হবার ফলে অনেক অনেক ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল । সরকারের ঘর থেকে সেই ভুয়ো রেশন কার্ডের জন্য আর মাসুল গুনতে হচ্ছে না। বর্ধমানের এক বিশেষ কর্মসূচীতে যোগ দিতে এসে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রতিটি রেশন দোকানে বিশেষ ইলেকট্রিক যন্ত্র বসানো হয়েছে । নিয়ম অনুযায়ী সেই মেসিনে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে প্রতিটি পরিবারের সকল সদস্য নথিভুক্ত করে নেবেন । সেখানেই রেশন কার্ডের সাথে আধার কার্ডের লিঙ্ক হয়ে যাবে । এরপর পরিবারের যে কোন একজন সদস্য রেশন দোকানে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে রেশন তুলতে পারবেন ।”
পাশাপাশি, রেশন তোলার ক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্ব পূর্ণ কথা বলেন জ্যতিপ্রিয় মল্লিক । তিনি বলেন, “এবার থেকে আগের মত আর প্রতি সপ্তাহে নয়, বরং একদিনেই সারা মাসের রেশন তুলে নিতে পারবেন দোকান থেকে ।” খাদ্য মন্ত্রীর এই ঘোষণার পর যারপরনাই হাসি ফুটেছে, নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তদের মুখে । কারন প্রতি মাসে ৪/৫ দিন কাজ কামাই দিয়ে আর রেশন দোকানে দাঁড়াতে হবে না । সেটি সারা মাসে একদিনেই সারা যাবে । পাশাপাশি আধার কার্ডের সাথে ডিজিটাল রেশনকার্ডের লিঙ্ক রেশন দোকান থেকেই হয়ে যাবে ।
বর্তমানে সারা দেশের পাশাপাশি রাজ্যের জনগণও CAA এবং NRC জ্বরে ভুগছে । অনেকেই আছেন, যারা রেশন কার্ডের সাহায্যে রেশন তোলেন না । অবশ্য দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারদের জন্যই কেবলমাত্র সস্তায় চাল, গম আটার ব্যবস্থা আছে । রাজ্যে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ আবেদন করেছেন যে, তারা ভর্তুকিহীন ডিজিটাল রেশন কার্ড চান এবং সেটির একমাত্র কারন ডিজিটাল রেশন কার্ডকে তারা একটি সরকারী এবং দরকারি নথি হিসাবে করাতে চাইছেন ।