বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ইসরায়েলের পর আমেরিকা, এবার চীনের বিরুদ্ধে ভারতকে শুধু সমর্থন নয়, দরকার হলে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে তৈরি সুপার পাওয়ার আমেরিকা । হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে চিফ অফ স্টাফ মার্ক মিডোজ ভারত-চিন সংঘাতের আবহে এমন বার্তা দিয়েছেন ।
হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ মার্ক মিডোজ বলেন, পরিষ্কার ভাবে জানিয়েছেন, আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখব না যে চিন বা অন্য কোনও দেশ সর্বশক্তিমান হয়ে বিশ্বের লাগাম নিজেদের হাতে নিচ্ছে। তা সে এই অঞ্চলেই হোক বা অন্য কোনও অঞ্চলে। চিনের আশেপাশে যারাই আছে, তারা চিনা আগ্রাসন থেকে নিরাপদ নয়। শুধুমাত্র ভারতের সঙ্গে সংঘাত নয়। চিনের বিরুদ্ধে একাধিক কারণে বারবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছে আমেরিকা। এবার ফের একবার হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা।
ভারত-চিন সংঘাতের আবহের মধ্যেই আমেরিকা দক্ষিন চীন সাগরে ইতিমধ্যে দুটি রনতরী মোতায়েন করেছে । এদিন সে বিষয়েও চিফ অফ স্টাফ মার্ক মিডোজ কথা বলেন । তিনি বলেন, আমাদের সামরিক ক্ষমতা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং তা অটূট থাকবে। তা সে ভারত-চিন সংঘাতই হোক বা অন্য কোনও ক্ষেত্রে। দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই অভিযান শুধু এটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য, যে বিশ্বে আরও বড় শক্তি রয়েছে।
গত মাসের ১৫ তারিখ ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে মুখোমুখি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হন । অন্য দিকে চীনের প্রায় ৪৫ জন সেনা মারা যায় ভারতীয় সেনাদের হাতে । যার মধ্যে কর্নেল পদমর্যাদার একজন অফিসারও ছিলেন । এরপর দুই দেশের মধ্যে লাগাতার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় । শেষ পর্যন্ত গত মঙ্গলবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং লি-র ভিডিও-র মাধ্যমে বৈঠকের পর গালওয়ান ও গোগরা অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে চিন।
ভারত-চিন সীমান্ত শুধু নয়, চীনের আরও একাধিক সমস্যা রয়েছে । পূর্ব চিন সাগর ও দক্ষিণ চিন সাগর লাগোয়া সীমান্তেও সমস্যা রয়েছে বিস্তর । সেখানেও অন্য পক্ষের মোকাবিলা করার জন্য প্রচুর পরিমাণ বাহিনী পাঠাতে হয়েছে বেজিংকে।কারন দক্ষিণ চিন সাগরের পুরোটাই দাবি করে চিন। সেই দাবি নস্যাত্ করেছে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন্স, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই ও তাইওয়ান। পাশাপাশি নাক গলিয়েছে আমেরিকা । এদিকে হংকং নিয়ে জাপানের সাথেও চীনের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে ।