কাশ্মীরের পুলওয়ামা কাণ্ডের জন্য দায়ী ছিল জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ। এই জঙ্গি সংগঠনের প্রধান ছিল কুখ্যাত মাসুদ আজহার যিনি অনেক আগে থেকেই ভারতে বিভিন্ন কুকর্মের সাথে জড়িত।কান্দাহার কাণ্ড থেকে শুরু করে দেশের সংসদ ভবনে হামলা, ২০০৮ সালের মুম্বই হামলা, পাঠানকোট হামলা প্রভৃতি ঘটনায় মাস্টার মাইন্ড হিসেবে বারবার উঠে এসেছে তার নাম।
দিল্লী, আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন অনেক আগেই মাসুদ আজহারকে গ্লোবাল টেররিষ্ট এর তালিকাভুক্ত করতে চেয়েছিল।নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটিকে তারা এব্যাপারে জানায়, কিন্তু বাধ সাধে চীন। চীন এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় চায়। এর ফলে সেই সময় মাসুদ আজহারকে গ্লোবাল টেররিষ্ট এর তালিকাভুক্ত করা যায়নি। পরে চীন ব্যাপার বেগতিক দেখে মাসুদ আজহারকে গ্লোবাল টেররিষ্ট এর তালিকাভুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু চীনের আগেই প্রথমে ফ্রান্স, পরে আমেরিকা এই পদক্ষেপ নেয়।
ফ্রান্স, আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো দেশগুলি মাসুদ আজহারকে নিয়ে তাদের যে বক্তব্য তা রাষ্ট্রসঙ্ঘে জানিয়ে দিয়েছে। শেষ মুহূর্তে চীন বাধ না সাধলে মাসুদকে এতদিনে গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণা করে দিত রাষ্ট্রসঙ্ঘ। চিনের পদক্ষেপের দু’সপ্তাহের মধ্যে নতুন কৌশল অনুসরন করে ১৫ জন সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাশ করিয়ে নিল আমেরিকা।
এই প্রস্তাব অনুযায়ী বাইরে কোথাও বেরোতে গেলে সমস্যার সম্মুখীন হবে মাসুদ আজহার যার ফলে বাজেয়াপ্ত করা হবে তার সম্পত্তি, যদিও ফ্রান্স আগেই নিজের দেশে মাসুদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু করে। এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং অন্যান্য দেশ।