বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতিতে কাজকর্মের চরম অব্যবস্থা, অন্যদিকে আলুসহ প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় আনাজের অগ্নিমুল্য, রাজ্যের সাধারন মানুষের জীবন যাত্রাকে আরও কঠিন করে তুলছে । মুখ্যমন্ত্রী আলুর দাম নিয়ন্ত্রনের কথা ঘোষণা করলেও, কাজের কাজ কিছুই হয়নি, বরং আরও দাম বেড়ে গেছে । এবার বাজারে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে যুব কংগ্রেস আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কুশপুতুল দাহ করে ।
রবিবার সকালে হাওড়ায় রামরাজাতলা বাজারে প্রতিবাদ সভা করল হাওড়া জেলা আইএনটিইউসি ও যুব কংগ্রেস।সেখানে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া জেলা যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি বিশ্বজিৎ সরকার, হাওড়া দক্ষিণ যুব কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জিত দেবনাথ, বালি যুব কংগ্রেসের সভাপতি সত্যম বাগানি, হাওড়া জেলা যুব আইএনটিইউসি’র চেয়ারম্যান প্রভাত সাউ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।সেখানে প্রতিবাদের মুখ্য বিষয় ছিল, আলু এবং সাধারন সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধি ।
এদিন প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে, হাওড়া জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক শংকরবাবু বলেন, “আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে টাক্স ফোর্স গঠন করা হয়েছে,কমিটি গঠন করা হয়েছে। দশ বারো টাকা কিলো আলু কেন আমরা চল্লিশ-পঞ্চাশ টাকায় কিনবো। বিধানসভা নির্বাচনের আগে জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে । এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পনামাফিক । বিধানসভা নির্বাচনের আগে টাকা তোলার জন্য এটা করা হচ্ছে।ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে ।এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। আমরা খাদ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।”
অপরদিকে হাওড়া জেলা আইএনটিইউসির কার্যকরী সভাপতি তথা যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি বিশ্বজিত সরকার জানান, “আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে । তার জন্য বাজারে খুচরো ব্যবসায়ীদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে,তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে । কিন্তু পাইকারি ব্যবসায়ীদের কিছু বলা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রী পুরোপুরি ব্যর্থ ।তাই আমরা এদিন খাদ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করেছি ও তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি। পাশাপাশি আমাদের আরও দাবি আলুসহ অন্যান্য আরও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তা না হলে আমরা আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।”
শুধু যুবকংগ্রেস নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের মুল্য যেভাবে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, পাশাপাশি অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতির কারনে চলা লকডাউনের ফলে স্বাভাবিক কাজ কর্মের বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে তাতে সাধারন মানুষের ধৈর্যর বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে । এদিকে বাজারের অগ্নিমুল্য নিয়ন্ত্রন করার জন্য সরকার টাক্স ফোর্স গঠন করে প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না । খোলা বাজারে আলুর দাম এখনই জ্যোতি আলু ৩৫-৪০ টাকা এবং চন্দ্রমুখী ৪০-৪৫ টাকা কেজি প্রতি বিকোচ্ছে । কাঁচা লঙ্কাসহ অন্যান্য সবজির দামও ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে ।