এবিপি নিউজ এর সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে, ভোটের আগেই ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি‘র জনপ্রিয়তা ধাপে ধাপে বেড়ে চলেছে। চলতি মাসেই মোদি‘র জনপ্রিয়তা এক লাফে ১২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
আর কিছু দিন পরেই লোকসভা ভোট, আর তার আগে এই সমীক্ষা অনেকাংশে চাপ মুক্ত করবে বিজেপি শিবির’কে। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে ২০১৪ সালে মোদি’র জনপ্রিয়তা এবং কারিশমার উপর ভিত্তি করে দিল্লি জয় করে বিজেপি এবং একক সরকার গঠন করে। কিন্তু ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই নরেন্দ্র মোদি‘র জনপ্রিয়তা’য় ভাটা পড়তে শুরু করে। মোদি‘র জনপ্রিয়তা কমা মানেই বিজেপি‘র ভোটের হার কমে আসা। কারন নরেন্দ্র মোদি বিজেপি’র সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। এবিপি নিউজ এর এই উক্ত সমীক্ষা তাকে চাপ মুক্ত করবে বলেই বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা। গত মাসের গোড়ার দিকে বাজেট পেশ করার পর’ই মোদি‘র জনপ্রিয়তা কিছুটা বেড়ে ছিল। এরপর ১৪ই ফেব্রুয়ারি যখন পুলয়ামায় হামলা হয় এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে এয়ার স্ট্রাইক হয়, তখন মোদির জনপ্রিয়তা ৪৮% থেকে বেড়ে হয়েছিল ৬০ শতাংশের উপর।
ফেব্রুয়ারি মাসের আগে চোখ বন্ধ করে অনায়াসেই বলা যেত যে সামনের লোকসভা নির্বাচনে গতবারের থেকে ১০০-র বেশি আসন কমে আসবে বিজেপি সরকারের। কিন্তু বাজেট এবং এয়ার স্ট্রাইক হামলা’র পর সমীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে মোদি’র জনপ্রিয়তা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মোড় ঘোরার জন্য কংগ্রেসের কাছে দুটি রাস্তা আছে, একটি হল ‘রাফাল’ আর অপর’টি হলো বায়ু সেনা হামলার পর মোদি‘র চড়া সুদে জাতীয়তাবাদ ঘোষণা।
ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি’র দায়িত্ব নিয়ে রাহুল গান্ধী একটি ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। যেখানে কংগ্রেস নিয়মিত সমীক্ষা শুরু করে। সেই সমীক্ষা অনুযায়ী প্রায় দেড় লক্ষ মধ্যে করা সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ৯০% লোক এই এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে মোদি‘র জাতীয়তাবাদ পছন্দ করছে না।
অন্তর্বর্তী বাজেটের সৌজন্যে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে মোদি‘র জনপ্রিয়তা একটু বেড়ে যায়। তবে সমীক্ষা থেকে একটি জিনিস পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, তা হল লোকসভা ভোটে ভালো ফল করতে হলে রাম মন্দির এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদ থেকে সরে আসতে হবে বিজেপি‘কে। কারন ৩ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজেপি‘র পরাজয় এর অন্যতম কারণ ছিল উগ্র হিন্দুত্ববাদ। তাই বিজেপি’র শীর্ষ স্থানীয় নেতা’রা ঠিক করেছেন যে, ভোটের আগে প্রচারে তারা জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমের উপরেই যোগ দেবেন বেশী করে।