বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ মানবিকতার প্রশ্নে কলকাতা সবসময় এগিয়ে । কিন্তু এবার করোনার আবহে যেন অপরিচিত হয়ে যাচ্ছে চেনা মুখগুলো । নিজের বাড়িতে সংজ্ঞাহীনভাবে একাকী পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধা, কিন্তু করোনা সংক্রমণের ভয়ে এগিয়ে এল না একটিও সাহায্যের হাত । দেরিতে হলেও পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে, চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে৷ কলকাতার এই অমানবিক মুখ যেন অনেকটাই অচেনা ।
ঘটনাটি ঘটেছে বাগবাজারের বৃন্দাবন পাল লেনে৷ জানা গেছে রবিবার নিজের বাড়িতে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় প্রায় ৬ ঘণ্টা পড়ে ছিলেন ছায়া চট্টোপাধ্যায় নামে ওই ৭০ বছরের বৃদ্ধা। তাঁর প্রতিবেশীরা তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেও এগিয়ে আসে নি করোনা সন্দেহে । পুলিশে খবর দেওয়া হলে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায় । শেষপর্যন্ত পুলিশ এসে ওই সত্তর বছরের বৃদ্ধাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করলেও বাঁচানো গেল না ।
অমানবিক এই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর শিউরে উঠেছেন অনেকেই । করোনা কিভাবে সাধারন মানুষকেও অমানবিক হতে বাধ্য করছে তার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে থাকল এই ঘটনা । স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ছায়া দেবী। তাঁর পায়ে একটি সংক্রমণ ছিল৷ সেটা থেকেই সম্ভবত অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অনুমান৷
শুধু ছায়া দেবীর ক্ষেত্রে নয়, রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায়ও দেখা যাচ্ছে এমন অমানবিকতার ছবি । এমনই ছবি দেখা গেল বনগাঁয় । বনগাঁর জীবনরতন ধর মহকুমা হাসপাতালের সামনে । শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বনগাঁ জীবনরতন ধর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন ৬৫ বছরের এক রোগী। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে তাঁকে বারাকপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু হাসপাতালের কোন কর্মী এগিয়ে না আসায় মাটিতে পড়ে থেকে মৃত্যু হয় সেই রোগীর ।