বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ফের মাধ্যমিকের মত উচ্চ মাধ্যমিকেও বাঁকুড়ার জয়জয়কার । অবশ্য এবারের জয়ে কলকাতাও ভাগ বসিয়েছে । সর্বকালের রেকর্ড করে উচ্চমাধ্যমিকে কলকাতার স্রোতশ্রী রায় ও বাঁকুড়ার গৌরব মণ্ডল পেল ৪৯৯ নম্বর । পাশাপাশি কলকাতার অপর এক গৌরব, গৌরব মাইতি পেয়েছে ৪৯৮ নম্বর । সব মিলিয়ে এবার পাশের হারেও রেকর্ড করেছে রাজ্য ।
এবার উচ্চ মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় যুগ্মভাবে কলকাতার স্রোতশ্রী রায় ও বাঁকুড়ার গৌরব মণ্ডল প্রথম স্থান অধিকার করেছে । কলকাতার স্রোতশ্রী রায় শেখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে । স্রোতশ্রী রায়ের ইচ্ছা আগামী দিনে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করার । নিজের ফল নিয়ে স্রোতশ্রীর বক্তব্য, “মোবাইলের জন্য আমার টেস্টের ফল ভাল হয়নি। তার পর মোবাইল থেকে দূরেই থাকতাম। ভাল লাগছে, আমি ৪৯৯ পেয়েছি পাঁচশোর মধ্যে। সব ক’টা পরীক্ষা দিতে পারলে আরও ভাল লাগত।”
এদিকে স্রোতশ্রী ছাড়াও আরও তিন জন পেয়েছে ৪৯৯ নম্বর। তার মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়ার গৌরব মণ্ডল। ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে গৌরবের। বাবা প্রাক্তন সেনাকর্মী। ছেলের সাফল্যের খবর শুনে উচ্ছ্বসিত তার মা শিপ্রা দেবীও। ক্রিকেট খেলতে ভালবাসে গৌরব। তার সাফল্যের খবর পেয়ে একের পর এক ফোন আসতে শুরু করেছে গৌরবের কাছে। ফুল-মিষ্টিতে ভরে গিয়েছে ঘর। সেই ব্যস্ততার ফাঁকেই গৌরব বলল, ‘আমি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। মন দিয়ে আগামী দিনে পড়তে চাই।’
এদিকে ৪৯৮ নম্বর পেয়েছেন কলকাতার আর এক গৌরব, গৌরব মাইতি । বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে হলেও, বাবা কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। তাই এখানে থেকেই পড়াশোনা তাঁর। যোধপুর পার্ক বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্র গৌরব মাইতি সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় ভাল ফল করলেও, তারও ইচ্ছা ডাক্তার হওয়ার। নব নালন্দার ছাত্র সৈকত দাস পেয়েছে ৪৯৭ নম্বর। বেহালার আদর্শপল্লির বাসিন্দা সে। এমবিবিএস পাশ করার পর স্ট্যাটিসস্টিক্স নিয়ে পড়তে চায় সে। সৈকতের কথায়, ‘এই নম্বর পেয়ে আমার ভাল লাগছে। শেষ দুটো পরীক্ষা দেওয়া হল না। আগামী দিনে স্ট্যাটিসস্টিক্স নিয়ে পড়তে চাই।’
এদিকে ওয়েব সাইটে এবার উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে বেশ বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে । প্রথম দিকে অতিরিক্ত ট্রাফিকের জন্য সাইট ক্রাশ করে । ফলে প্রায় দুই ঘণ্টা ওয়েব সাইট বন্ধ থাকার পর ফের রেজাল্ট দেখা যায় । অনেকের রেজাল্ট অসম্পূর্ণ এসেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে ।