বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ- সংবিধানের ধারা অনুযায়ী কোনও রাজ্য যদি কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট এ পাস হওয়া আইন না মানে তবে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকার কে সংবিধান এর নিয়ম না মানায় আনতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন। আসুন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক সংবিধানের ধারায় কি লেখা আছে।
CAA অর্থাৎ Citizenship Amendment Act সংসদে পাস হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে অশান্তি। বিভিন্ন পার্টির তরফ থেকে এই Act এর বিরধিতা করা হচ্ছে। কিন্ত এভাবে কি সত্যিই আটকানো যাবে এই আইনকে ? সংবিধান কিন্তু অন্য কথা বলছে। ভারতীয় সংবিধানের ২৫৬ নাম্বার ধারা এর সম্বন্ধে জানলে এ বিষয়টি আপনার কাছে পরিস্কার হবে।
ভারতীয় সংবিধানের ২৫৬ নম্বর ধারায় বলা আছে “Every State shall utilize its executive powers in conformity with the laws made by the Parliament and with all the pre-existing laws prevailing in the State, and it further mentions that, the Union may exercise its executive power to give directions to the State as and when the Government of India deems fit for any purpose” অর্থাৎ “প্রতিটি রাজ্য সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন এবং রাজ্যে প্রচলিত সমস্ত পূর্ব বিদ্যমান আইন মেনে তার কার্যনির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করবে এবং এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য তার কার্যনির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে এবং যখন ভারত সরকার কোনও উদ্দেশ্যে উপযুক্ত মনে করে।”
ভারতীয় সংবিধানের ২৫৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী কেন্দ্রে পার্লামেন্টে কোন আইন পাস হওয়ার পর সেটা প্রত্যেক রাজ্য কে মেনে নিতে হবে এটাই বলা আছে। কোন রাজ্য যদি তা না মানে তাহলে সংবিধানের ৩৫৬ নম্বর ধারা কার্যকর করে সেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যেতে পারে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন তিনি কোনোভাবেই CAA কে পশ্চিমবঙ্গে চালু হতে দেবেন না। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি আইন না মানেন তাহলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন অবদি জারি হতে পারে।
এই আইন কে যদি চ্যালেঞ্জ করার হয় তাহলে যিনি এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করছেন তাকে সুপ্রিম কোর্টে এই আইনের বিরুদ্ধে আপিল করতে হবে। যদি মাননীয় সুপ্রীম কোর্ট এই আইনকে সংবিধান বিরোধী বলেন তবেই CAA কে আটকানো যেতে পারে।