সময়ের সাথে হাত মিলিয়ে

ইলিশ প্রেমীদের জন্য সুখবর – রাজ্যে আসছে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ

ইলিশ প্রেমীদের দুঃখের দিন শেষ । এবার চাইলেই রুই-কাতলা মত যখন তখন ইলিশ পাওয়া যাবে । এমনটাই জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । পশ্চিমবাংলার বাঙালিরা সারা বছরই হাপিত্যেশ করে বসে থাকে বাংলাদেশ থেকে আসা সেই রুপালি সম্পদের দিকে তাকিয়ে । বাঙালির রসনা বিলাস এর জন্য ইলিশের ভূমিকা অনস্বীকার্য । এবার বাংলাদেশ থেকে ইলিশ না পাঠালেও পশ্চিম বাংলার বাঙালির পাতে ইলিশ এর অভাব হবে না ।

এবার থেকে গোটা বিশ্বকে ইলিশ খাওয়াবে বাংলা । বাংলার পুকুরে ইতিমধ্যে ইলিশের চাষ শুরু হয়ে গেছে ।  গুরুত্ব বাড়াতে চালু হয়েছে ডায়মন্ড হারবার ইলিশ মাছ চাষ গবেষণা  কেন্দ্র ।  সেখানে ডিম  উৎপাদনের কাজ চলছে পুরোদমে । সফল হলে আগামী দিনে পুরোদমে হবে মাছ উৎপাদন ।  আর সেখান থেকেই চলে যাবে সারা বিশ্বে । বিধানসভায় এমনটাই জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ” বাংলাদেশের দুঃখ আছে আমরা তিস্তার জল দিতে পারেনি ।  আমার দেওয়ার ক্ষমতা থাকলে নিশ্চয়ই দিতাম । আমার কোন অসুবিধা নেই । বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই । ফারাক্কার জল আগেই দিয়েছেন জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রীর থাকাকালীন । বাংলাদেশ এক সময় ইলিশ মাছ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল । কিন্তু আমাদের লোকেরা তো  ইলিশ খেতে ভালোবাসে । বাঙালির ইলিশ বড় প্রিয় । তাই আমরা ভাবনা চিন্তা করতে শুরু করলাম কিভাবে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো যায় । আমরা ডায়মন্ডহারবারে একটা গবেষণা কেন্দ্র করেছি 3/4 বছর আগে । তারা কাজ করছে,  অনেক সফল হয়েছে ।  তারা এত সফল হবে যে,  বিদেশে ইলিশ রপ্তানি করতে পারব ।  এখনো আমাদের ইলিশের কোন অভাব নেই । বর্ষায়  ইলিশ এত ওঠে যে,  মানুষের তা পেতে কোন সমস্যা নেই । আমরা ক্ষমতায় এসে সব সময় দেখতাম মাছ রায়পুর,  উড়িষ্যা,  অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসে । আমি প্রথমেই এসে ৭০০তি  জলাশয়ে মাছ চাষ করতে শুরু করি । ব্যাপক উৎপাদন হয় । একটা মাস দু কেজি হতে ২  বছর লাগে অর্থাৎ অনেক সময় লাগে মাছ বড় হতে । তাই একটা ইলিশ যদি বাচ্চা অবস্থায় খেয়ে ফেলি তো কি করে চলবে ? এখন আমরা পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায়  বিশেষ প্রকল্প নিয়েছি ।  আমাদের লক্ষ্য আগামী এক বছরের এতো মাছ উৎপাদন করা যে,  আর বাইরে থেকে মাছ  আনাতে হবে না । আমরা প্রচুর উৎপাদন করব । বাইরে থেকে আনাতে যে পরিবহন খরচ হয় তাও লাগবে না । ফলে মানুষ অনেক কম দামে মাছ পাবেন” ।

মন্তব্য
Loading...