বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ চাকরীপ্রার্থীদের জন্য সুখবর। যেসব শিক্ষার্থীরা গ্রুপ বি এবং গ্রুপ সি পদের জন্য আবেদন করবেন তাদের ক্ষেত্রে হবে একটাই এন্ট্রান্স পরীক্ষা। এই পরীক্ষার নাম হল, “কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট”।
দেশ জুড়ে এমনিতেই চাকরীর বেহাল দশা। সেখানে কিছু কিছু পরীক্ষার ক্ষেত্রে থাকে অনেক নিয়ম। অনেক পরীক্ষায় পুরোপুরি সফল হতে হলে পরীক্ষার্থীদের পাশ করতে হয় অনেকগুলি পদক্ষেপ। অনেকে হয়ত প্রথম দুটি পদক্ষেপ সফলতার সাথে টপকালেও পরের ধাপে গিয়ে আটকে যায়। ফলে সে হয়ে পরে অকৃতকার্য। এমনভাবে দিনের পর দিন একেই ধাপের পুনরাবৃত্তির সাথে সাথে কেউ বেরিয়ে যায় আবার কেউ আটকে যায়। হয়ত পরিস্থিতি সবসময় অনুকূল থাকে না ফলে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা অবসাদগ্রস্থ হয়ে বেছে নেয় মৃত্যুর মত সাংঘাতিক পথ অথবা বেছে নেয় অপরাধ জগতকে। এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে সরকার এবার নতুন উপায় বার করেছে। পরীক্ষা হবে একটাই। কৃতকার্জ হলে সেই পরীক্ষার নম্বরের ভ্যালু থাকবে ৩ বছর। অর্থাৎ তিন বছর কোনও এনট্রান্স পরীক্ষা দিতে হবেনা। মেইনস এবং ইন্টারভিউ দিলেই হবে।
এই নতুন নিয়ম সম্পর্কে আরও জানা গেছে যে, কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট বা সিইটি টেস্টএর জন্য সরকার একটি বিশেষ সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে গ্রুব বি এর গেজেটেট এবং নন গেজেটেট এবং গ্রুপ সি পদের জন্য প্রার্থী বাছাই করতে। এছাড়া আর যে অন্যান্য পরীক্ষাগুলির প্রার্থী ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশানের সিভিল সার্ভিস এক্সামিনেশানের মাধ্যমে বাছাই করা হয় সেগুলি হল- ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস, ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস, ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস ইত্যাদি। এছাড়াও স্টেট সিলেকশান কমিশানও কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রুপ বি পদের জন্য প্রার্থী বাছাই করে থাকে।
এইক্ষেত্রে নিয়োগকারী সংস্থা গুলিকে আলাদা করে ভাগ করে দেওয়া হবে। যারা প্রত্যেক প্রার্থীর স্কোর জানতে পারবে। এক্ষেত্রে স্কোরের মেয়াদ থাকবে তিন বছর। প্রতি প্রার্থীকে প্রথম সুযোগে ভালো স্কোর না হলে আরও দুবার সুযোগ দেওয়া হবে ভালো স্কোর করার। যে স্কোরটা ভালো হবে সেটাকেই ফাইনাল স্কোর হিসেবে ধরে প্রার্থী বাছাই হবে। ফলে প্রার্থীরা যেমন তাদের নম্বর জানতে পারবে তেমনই পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। তবে কবে থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের এই নতুন নিয়ম চালু হবে তা এখনও জানা যায়নি।