বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্য জুড়ে মহামারীর আকার ধারন করতে চলেছে করোনা সংক্রমণ । আজ, বৃহস্পতিবার, শনিবার এবং আগামী বুধবার গোটা রাজ্যে পূর্ণ লকডাউন হতে চলেছে। তবুও কিছু মানুষের টনক এখনও নড়েনি । এবার অবাধ্য সেই সব জনতাকে ঘরে বন্দি করে রাখার জন্য লালবাজার পুলিশের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা করে বিশেষ বাহিনী গঠন করা হল ।
গোটা রাজ্যজুড়ে লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার । এত দিন রাত ১০টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত লকডাউন ছিলই, তা বহাল থাকছে। সেই সঙ্গে সকাল ছ’টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পূর্ণ লকডাউন থাকবে।শহরে এই লকডাউন কড়া ভাবে পালন করতে চায় লালবাজার। লকডাউন সফল করতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা ছাড়াও শহরের ৫৬টি বাজারকে বেছে নিয়ে সেখানে পুলিশের বিশেষ দল রাখা হয়েছে। সব রকম পরিস্থিতি সামলাতে অতিরিক্ত তিনটি কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। যেখানে থাকবে বিশাল বাহিনী। পাশাপাশি প্রতিটি কন্ট্রোল রুমে কমব্যাট ফোর্সের ১০ জন করে জওয়ান থাকবেন। বাসিন্দারা যাতে লকডাউন এবং করোনার বিধি মেনে চলেন সে জন্যে বুধবার থেকে বিভিন্ন থানা এলাকায় মাইকিং শুরু হয়েছে।
মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও এক শ্রেনির মানুষ ছিলেন উৎসবের মেজাজে । কোন কিছু বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে তাদের প্রতিদিন ঘরের বাইরে বের হওয়াটাই ছিল দস্তুর । ফলে হাজার চেষ্টা করেও প্রশাসন প্রথম পর্যায়ের লকডাউন সফল করতে পারেনি । তারপর আনলক পর্যায়ে শিথিলতা আনা হলে রাস্তায় বের হওয়া নিয়ে আর কোন বাঁধাই ছিল না । তাই এ বার লকডাউন পুরোপুরি মানতে থানাগুলিকে নির্দেশ পাঠিয়েছে লালবাজার।
জানা গেছে, বৃৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের ২৮টি জায়গায় নাকা তল্লাশির পোস্ট তৈরি করে সেখানে থাকবেন পুলিশকর্মীরা। পাঁচ জন করে কর্মী এক জন অফিসারের নেতৃত্বে সেখানে থাকবেন। গাড়ি তল্লাশি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী কোন বাজার খোলা থাকার কথা নয় ।বন্ধ থাকবে পোস্তা, কোলে মার্কেটের মতো পাইকারি বাজারও। বাজারগুলি যাতে বন্ধ থাকে তার নজরদারিতে প্রতিটি বাজারে তিন জন করে পুলিশকর্মী থাকবেন। এ ছাড়া ডিভিশনাল ডিসির অফিসে থাকবে ৩০ জন কর্মীর একটি রিজার্ভ বাহিনী। ওই দলের নেতৃত্বে থাকছেন এসি পদমর্যাদার দু’জন অফিসার। যাঁদের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকা ঘুরবে ওই বাহিনী।
এক পুলিশকর্তা জানান, লকডাউন সফল করতে অনেকটা ধর্মঘটের মতো শহর জুড়ে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এ বার। ৫৬টি বাজারের বাইরেও যে সব বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি, সেখানে থানা থেকে বাহিনী দিতে বলা হয়েছে। বাজার ঘাট, অফিস, গনপরিবহন বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওষুধের দোকান, বিদ্যুত্, জরুরি পণ্য পরিষেবা, বাড়িতে খাবার পৌঁছনোর পরিষেবা চালু থাকবে।লালবাজারের খবর, কন্টেনমেন্ট জ়োনে লকডাউন ৩১ জুলাই পর্যন্ত বহাল থাকছে। তার সঙ্গেই সপ্তাহে দু’দিন করে পূর্ণ লকডাউন হবে।