বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে চীন । ক্ষতি কোটি কোটি একর জমির ফসল । গৃহহীন হয়ে পড়েছে লাখে লাখে মানুষ । আগামী দিনে খাবারের আকাল এমন আকার ধারন করতে পারে, যা চিনে গত ১০০ বছরেও দেখা যায়নি, এমনটাই ধারনা করছেন বিশেষজ্ঞরা ।
এমনিতে করোনা ভাইরাস নিয়ে অভিযোগের খাঁড়া চীনের মাথার উপরে ঝুলে আছে । ফলে গোটা বিশ্বে কোন ঠাসা হয়ে পড়েছে লাল চীন । এর মধ্যে ভয়াবহ বন্যার কবলে দিশেহারা অবস্থা শুরু হয়েছে সেখানে । বন্যার করাল গ্রাসে সর্বত্রই যেন ধ্বংসের ছবি।একদিকে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে ফসলের, অপর দিকে মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে ব্যাপক মাত্রায় ফসলের ক্ষতি আগামী দিনে চীনের উপর প্রভাব ফেলতে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনা সংক্রমণ চিনে শুরু হলেও পরিস্থিতি সামলে নিয়েছে তারা । কিন্তু বন্যার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামলানোর জন্য হিমসিম খেতে হচ্ছে । এবারে বন্যা চিনের আগের যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এবছর মে থেকেই শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। ইয়াংসে প্রায় ৪০০ টি ছোট-বড় নদী জলে উপচে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। জুন মাস আসতে না আসতেই একাধিক এলাকায় শুরু হয় বন্যা। অন্যদিকে এই বন্যার মধ্যেও ভারী বৃষ্টি এখনও বন্ধ হয়নি, ফলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠতে শুরু করেছে ।
জানা গেছে, প্রায় ৬ কোটি মানুষ এই বন্যার কবলে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে দেড় কোটি একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে । বন্যার জল আটকে থাকায় নতুন করে ফসল উৎপাদন করাও সম্ভব হচ্ছে না । ফলে পরের মৌসুমেও পর্যাপ্ত শস্য যোগান কিভাবে হবে সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে । সরকারী হিসাবে এই বন্যায় বেশ কয়েক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে।এর আগে করোনা মোকাবিলায় চীনের অর্থনীতিরও বেশ কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এমতাবস্থায় বিশাল পরিমাণে ফসলের ক্ষতি মরার ওপর খাঁড়ার ঘা-এর মতো প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী দিনে যে সব দেশ থেকে চীন খাদ্য শস্য আমদানি করে, বিশেষ করে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং জাপানের মতো দেশ, তাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ।যদি এই দেশগুলি আমদানি বন্ধ করা বা আমদানি পণ্যের উপর শুল্ক বেশী করে চাপিয়ে দেয়, তাহলে খাদ্য প্রবল খাদ্য সংকটের মুখে পড়তে পারে চীন ।