সেই প্রাচীনকাল থেকেই যে বাঙালীরা সব দিকে এগিয়ে তা আবারও প্রমাণ করলো এক মহিলা বাঙালী বিজ্ঞানী মৈত্রেয়ী বোস। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই বাঙালী বিজ্ঞানী জাপানে বসে গবেষণা চালিয়ে প্রমাণ করেন যে গ্রহাণুতেও জল আছে।
জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা হায়াবুসার গবেষক দল গ্রহানুর মধ্যে জল থাকার কথা জানান। বাদামের আকৃতি এই গ্রহাণু ১,৮০০ ফুট লম্বা এবং ৭০০-১০০০ ফুট পর্যন্ত চওড়া। নাম তার “ইটোকাওয়া”। প্রতি ১৪ মাসে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে এই গ্রহাণু। সূর্যের চারপাশ দিয়ে ঘোরার সময় কখনও কখনও এটি ঢুকে পরে পৃথিবীর কক্ষপথে। সূর্যের থেকে পৃথিবীর যা দুরত্ব তার থেকে ১.৩ গুণ দূরে অবস্থান করে এই গ্রহাণু। মৈত্রেয়ী আরও বলেন তাদের আবিষ্কারের আগে এখানে জল থাকতে পারে তা কেউ ভাবতেও পারেনি।
মানুষের চুলের ঘনত্ত্বের অর্ধেক ঘনত্ত্বের নমুনার ওপর গবেষণা চালান মৈত্রেয়ী ও জিলিয়াং জিন। সেই নমুনায় জলের পুরো উপস্থিতি টের পাওয়া গেছে বলে জানান মৈত্রেয়ী।এটাযে নিঃসন্দেহে একটা যুগান্তকারী আবিষ্কার।