ডেঙ্গুর বিপদ কেটে আসছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগের থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগি এখন কম ভর্তি হচ্ছে। সরকারের তথ্য মোতাবেক গত দিনে ৭৮৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু রোগী কমার জন্য সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবস্থাগুলো অব্যাহত রাখা না হলে আবার এর প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
বর্তমান বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত যা পূর্বের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। ডেঙ্গুর প্রকোপ আগস্ট মাসে এতই ভয়ংঙ্কর হয়েছিল অনেকেই মনে করছিলেন ডেঙ্গু বাংলাদেশে মহামারি আকার ধারণ করতে যাচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাস আসতে ডেঙ্গু রোগী কমতে শুরু করেছে।
ডেঙ্গুর উপরে কাজ করা ব্যক্তিবর্গ মনে করেন ডেঙ্গুর জন্য এখন নির্ধারিত সময় নয় সারা বছরই সতর্ক থাকতে হবে। তবে ডেঙ্গুর আক্রমনের হার এখন ঢাকার বাইরে বেশী। বরিশাল, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলায় অনেক বেশী।
সরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৭ জন বলা হচ্ছে। যদিও বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা অনেক বেশি বলা হচ্ছে। সারাদেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭২৭৪৫ জন।
প্রসঙ্গত ডেঙ্গুর ভাইরাসবাহী মশা কামড়ানোর ২ থেকে ৭ দিন পর এসব উপসর্গ স্পষ্টভাবে লক্ষণীয় হয়। এ রোগের কিছু সাধারণ উপসর্গ হলো জ্বরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশ বেড়ে যায়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। বিরামহীন মাথাব্যথা, হাড়, হাড়ের জোড় ও পেশিতে তীব্র ব্যথা, বমি ভাব বা বমি হওয়া, গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, সারা শরীরের ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া, চোখের পেছনে ব্যথা হওয়া ইত্যাদি। ডেঙ্গু যদি প্রথমবার আক্রান্ত করে এবং এটি যদি তরুণ ও শিশুদের হয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো উপসর্গ থাকে না। জ্বরও থাকে না, এ রকমও হতে পারে।