বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর পর মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও মিড ডে মিল চালু করেছে। মিড-ডে মিল যা শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের আসার জন্য আগ্রহী করে তুলবে।
শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এক আদেশে বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় শিক্ষার্থীদের জন্য মিড-ডে মিল ব্যবস্থা থাকলে শিখন-শেখানো কার্যক্রম অধিকতর ফলপ্রসূ হয়। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসাররা তাদের নিজ জেলার যেসব প্রতিষ্ঠান মিড-ডে মিল চালু করতে চায় তার একটি তালিকা প্রস্তুত করবেন।
গত ৩১/১/১৯ তারিখ বুধবার শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চিঠি পাঠিয়ে সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। একইসাথে মিড-ডে মিল চালু করতে আগ্রহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ তালিকা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের।
মিড-ডে মিল চালুর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ন্যূনতম কতগুলো শর্ত পূরণ করতে হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর। শর্তগুলো হিসেবে বলা হয়, শুধু আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতি মিলের জন্য আগ্রহী শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে অনূর্ধ্ব ২০ টাকা গ্রহণ করা যাবে। প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যসম্মত রান্নার জায়গা এবং রান্না বাজার ও পরিবেশন করার জন্য জনবলের ব্যবস্থা থাকতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
মিড–ডে মিল একটি বহুল আলোচিত বিষয়। খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষা (মিড ডে মিল) নিশ্চিত করতে পারে শিশুকে স্কুলমুখি করে জাতিকে শতভাগ শিক্ষিত করতে। জানা যায় ১৯৩৯ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানে স্কুলগুলিতে শিক্ষার্থীর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায় এবং সে দেশে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। জাপান সরকার তখন শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরে একবেলা স্কুলে ফ্রি খাবারের ব্যবস্থা করে। অভাব থাকলেও তখন বাচ্চাকে কাজে না পাঠিয়ে একবেলা খাবার গ্রহণ ও সন্তান লেখাপড়া শিখবে ভেবে, বাবা মায়েরাও নিশ্চিন্ত হয়ে সন্তানকে স্কুলে দিয়ে পূর্ণ উদ্যমে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিলেন।
ভারতে ১৯৯৫ সালে মিড-ডে মিল কর্মসূচী চালু করা হয়। সমগ্র ভারতে মিড-ডে মিল একটি আলোচিত ও সমালোচিত বিষয়।
বাংলাদেশে মিড-ডে মিল না থাকলেও পূর্বে বিদ্যালয় মুখী করার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাদ্য প্রদান করা হয়েছ। পরবর্তীতে বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় মিড ডে মিল চালু করে এবং এখন মাধ্যমিকে চালু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।