একটা সমস্যা বন্ধ করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আর একটা সমস্যা সৃষ্টি, এমনই ঘটনা দেখা গেল হাওড়ার গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোডে । পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাস্তা গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড । বর্তমানে সেখানে প্রতি শুক্রবার নিয়ম করে রাস্তার উপরে নামাজ পড়া হয় । নামাজ পড়াকালীন কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না । জরুরী ভিত্তিতে কোন রোগী হাসপাতালে যেতে চাইলেও থেমে যেতে হয় ওই সময়টায় ।
এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার হাওড়া জেলা সভাপতি ও পি সিং এর নেতৃত্বে বালিখাল এলাকায় হনুমান চালিশা পাঠ করার বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয় । তার যুক্তি, একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ যদি প্রার্থনা করতে পারেন এইভাবে, তাহলে বাকিরা কেন পারবে না ? সংখ্যালঘু এবং সংখ্যাগুরু সকলকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে । শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি । তিনি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে আমরা দেখেছি যে গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড সহ অন্যান্য সকল প্রধান রাস্তায় শুক্রবার করে নামাজ পড়া হয় এবং সেই সময় নামাজের জন্য বন্ধ করে রাখা হয় । যার কারণে অনেক রোগীর মৃত্যু হয় । মানুষ সঠিক সময় অফিসে যেতে পারে না । এই নিয়ম যতদিন চলবে ততদিন আমরাও মঙ্গলবার করে রাস্তাজুড়ে হনুমান চল্লিশা পাঠ চালিয়ে যাব” । তিনি আরো জানান, “হনুমান মন্দির সংলগ্ন সমস্ত রাস্তায় এবার থেকে এই কর্মসূচি পালন করা হবে” ।
কিন্তু আসল কথা হল, নামাজের জন্য শুক্রবার করে রাস্তা বন্ধ রাখা হয়, একথা সত্যি । তেমনি এ কথা সত্যি, রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না । সেই একই জিনিস এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে যদি সপ্তাহে আরও একটা দিন একই পথের পথিক হয়ে রাস্তা বন্ধ রাখা হয়, তাহলে তো মানুষের সমস্যা দূর করার জায়গায় সমস্যা বাড়িয়ে দেওয়া হবে । এই প্রশ্নটা ও পি সি ও পি পি সিং কে করা হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি । কেন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা হঠাৎ করেই এমনতর সিদ্ধান্ত নিল তাও সকলের কাছে পরিষ্কার নয় ।