বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ এখন সংবাদ মাধ্যম খুললেই করোনা নিয়ে খবর । এবার সেই করোনার সাথে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাম জড়িয়ে দিলেন শোভন-বান্ধবী বৈশাখীর । আর শিক্ষা মন্ত্রীর এই চূড়ান্ত অপমান মেনে নিতে না পেরে কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠক থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গেলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ।
গতকাল কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকে অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ দুই জনেই উপস্থিত ছিলেন । কিন্তু হঠাৎ করেই ছন্দপতন করে বসলেন শিক্ষামন্ত্রী । তিনি সেই বৈঠকে সকলের সামনে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করে চূড়ান্ত অপমান করলেন শোভন-বান্ধবী বৈশাখীকে । চূড়ান্তভাবে অপমানিত হয়ে বৈশাখী কাঁদতে কাঁদতে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান ।
ঘটনাটি ছিল মিল্লি আল আমিন কলেজকে ঘিরে । বেশ কিছু দিনের পুরানো সমস্যার কারনে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরিচালন সমিতির সদস্যদের বিকাশ ভবনে বৈঠকে ডাকেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে হঠাৎ করেই বৈশাখীকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, “করোনা ভাইরাস যেমন পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে, তেমনি মিল্লি আল আমিন কলেজের ভাইরাস হচ্ছেন বৈশাখী।” সকলের সামনে এহেন অপমান মেনে নিতে পারেন নি বৈশাখী ।
আরও জানা গেছে, কেবলমাত্র মুখে নয়, তারপরেও উচ্চশিক্ষা দফতরের বৈঠকে সবাইকে চা দিলেও প্রথমে বৈশাখীকে তা দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। এছাড়া যে অধ্যাপক বৈশাখীকে লাগাতার অপমান করেন, তাঁকে শিক্ষা দফতরের একটি উঁচু পদে বসানো হবে বলেও জানানো হয়। এখানে প্রতিবাদ করেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা বৈশাখী । কিন্তু সেখানে নাকি শিক্ষামন্ত্রী বৈশাখীকে জানান, তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ।ফলে সেখানে বৈশাখীকে নিয়ে সেখানে পরিচালন সমিতির সদস্যদের মধ্যে হাসাহাসিও হয় ।
এই ঘটনার পর রাজনৈতিকভাবে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । অনেকেই এর মধ্যে রাজনীতির গন্ধ পেতে শুরু করেছেন । কারন কিছুদিন আগে বেহালায় শোভনের জায়গায় তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে প্রচারের মুখ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও পরবর্তী সময় নবান্নে মমতার সঙ্গে বৈশাখীর বৈঠকের পরই রত্না চট্টোপাধ্যায়কে সরে যেতে হয় । অনেকেই মনে করছেন কালকের এই ঘটনা শিক্ষামন্ত্রী পূর্বের কথা মনে করে ইচ্ছাকৃত করেছেন ।