বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ দেশজুড়ে করোনা আবহের মধ্যে ২০২০ সালের জয়েন্ট এবং নিট পরীক্ষা নিয়ে শুরু হয়েছে ধোঁয়াশা । এই মুহূর্তে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এবং নিট পরীক্ষার আয়োজন করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবার এই দুই পরীক্ষা স্থগিত করার আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ।
বর্তমানে কড়া লকডাউনের মধ্যেও করোনা সংক্রমণ কোনভাবে ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না । গত ২/৩ সপ্তাহ ধরে দৈনিক করোনা সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বে প্রথম স্থানে আছে ভারত । এদিকে স্কুল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে । করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা প্রধান মন্ত্রীকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছেন, “ছাত্রছাত্রীদের মানসিক যন্ত্রনা এবং মানসিক বিপর্যয় থেকে মুক্তি দিতে চলতি বছরের পরীক্ষা স্থগিত রাখা হোক”।
গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে টুইট করেন । সেখানে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন,”আমি আরও একবার আর্জি জানাচ্ছি, ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে, ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে জয়েন্ট এবং নিট পরীক্ষা স্থগিত করা হোক।”তিনি আরও লিখেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যখন সর্বশেষ ভিডিও কনফারেন্সে কথা হয়েছিল আমি ইউজিসির সূচি অনুযায়ী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলাম। কারণ এই সময়ে পরীক্ষা নেওয়া মানে ছাত্রছাত্রীদের বড়সড় ঝুঁকির সামনে ফেলে দেওয়া হবে”।
এদিকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এবং নিট পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যে অ্যাডমিট কার্ডও তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়ে দেয়, চলতি বছরের নিট এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্স নির্ধারিত দিনেই হবে। করোনার কোপেই পরীক্ষা আগে নেওয়া যায়নি। তাই সেপ্টেম্বরেই পরীক্ষা হবার কথা । কিন্তু এখনও করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক । ফলে পরীক্ষা নেওয়া যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন ।
এদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও মঙ্গলবার, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী জানান, “একবার ছাত্রদের মনের কথাও শুনে নিন”। অন্যদিকে বাংলার কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর তীব্র প্রতিক্রিয়া, “পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সময় তারা কীভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে পারবে এ বিষয়ে সকলেই প্রচণ্ড উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে”। যদিও বিচারপতি অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বে তিন বিচারকের বেঞ্চ আগেই জানায়, করোনা থাকলেও জীবন চালাতে হবে এবং আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের কেরিয়ারকে বিপদে ফেলতে পারে না। আরও জানানো হয়, জীবন এভাবে থমকে থাকতে পারে না। আমাদের সুরক্ষাবিধি মেনে এগিয়ে যেতে হবে।