বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ একে করোনা তার উপরে ছিল আমফানের তাণ্ডব । জনদরদী মুখ্যমন্ত্রী যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য টাকার ব্যবস্থা করলেন । কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকাংশ টাকা হাতে পাননি । ফলে তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী । দিদির এক হুঁশিয়ারিতেই কেল্লাফতে ! আমফানের টাকা ফেরানোর কাজ ইতিমধ্যে শুরু । এবার টাকা ফেরালেন হিঙ্গলগঞ্জের ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষ ।

আমফানের ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপুরন করার জন্য একেবারে যুদ্ধকালীন ব্যস্ততার মধ্যে টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন প্রকার খোঁজখবর না নিয়েই সেই ত্রান ও অর্থ বিলি করা হয় । পরবর্তীকালে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসতে শুরু করে সেই অর্থ এবং ত্রান নিয়ে দুর্নীতি নিয়ে । ক্ষতিপূরণের টাকা বণ্টনের অভিযোগ ও বিক্ষোভ এমন পর্যায়ে চলে যায় যে দলীয় কর্মীদের রীতিমত হুশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। দুর্নীতি দেখলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৃণমূল দলীয় ভাবে নির্দেশ দেয় জেলা পরিষদের সভাপতিদের। এবার টাকা ফেরালেন হিঙ্গলগঞ্জের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শহিদুল্লাহ এবং কর্মাধ্যক্ষ স্বরূপ প্রামাণিক।

আমফানের তাণ্ডবে অসহায় মানুষ

জানা গেছে, ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর হুশিয়ারি এবং কড়া ঘোষণার পর  বেশ কিছু এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান-সহ বেশ কয়েক জন জনপ্রতিনিধিকে পদত্যাগ করতে হয়। তারপরেই জায়গায় জায়গায় টাকা ফেরানো র হিড়িক পড়ে যায় । আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ শুধুমাত্র শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে নয়, কংগ্রেস এবং অন্যান্য দলের বিরুদ্ধেও উঠেছে । তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শাসক দলের স্বজন পোষণের কথাই উঠে এসেছে । 

অনেকেরই নেই মাথা গোঁজার ছাউনি

এদিন অভিযোগ ছিল হিঙ্গলগঞ্জে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শহিদুল্লাহ, কর্মাধ্যক্ষ স্বরূপ প্রামাণিক সহ মোট পাঁচ জন পঞ্চায়েত সদস্য নিজেদের নাম ও পদ ব্যবহার করে কুড়ি হাজার টাকা করে তুলে নিয়েছেন। সেই টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে । সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষের অভিযোগ, যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের না দিয়ে দোতলা ও একতলা বাড়ির বহু লোককে দলের পক্ষ থেকে টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। যদিও  অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হিঙ্গলগঞ্জের ব্লক তৃণমূল সভাপতি শহিদুল্লাহ গাজি।

ব্লক সভাপতি জানিয়েছেন,  “আমাদের তৃণমূলের দলের একটা অংশ চক্রান্ত করে আমাদের নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমরা পরে গিয়ে দেখি ব্যাঙ্কে টাকা ঢুকে গেছে। আমফানের ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা অ্যাকাউন্টে জমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা তা ফেরত দিয়ে দিয়েছি ।”  তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল দলের একটা অংশ আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্তে নেমেছে। পাশাপাশি দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে।” তবে ঘটনা যাই হোক এভাবে দিদির হুশিয়ারির পরেই তৃণমূলের প্রভাবশালীরা এই টাকা ফেরত দিতে শুরু করায় উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলের বাসিন্দারা অবাক।

Kajal Paul is one of the Co-Founder and writer at BongDunia. He has previously worked with some publishers and also with some organizations. He has completed Graduation on Political Science from Calcutta University and also has experience in News Media Industry.

Leave A Reply