বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ আনলক পর্যায়ে যেভাবে গোটা দেশে সব কিছুর উপর শিথিলতা ঘোষণা করা হয়েছিল, তাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু সহ দেশের চিকিৎসকমহলও আতঙ্ক প্রকাশ করেছিল । এবার তাদের ধারনা যে অমূলক ছিল না, প্রমান হতে শুরু করেছে । রাজধানী দিল্লি, এবং বানিজ্য নগরী মুম্বইতে ইতিমধ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা করেছেন আইসিএমআর-এর প্রাক্তন মহামারী গবেষণা বিভাগের প্রধান ডঃ রমন আর গঙ্গাখেড়কর।
চলতি মাসের শুরু থেকেই প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড করছে । লকডাউনে শিথিলতা আনার সাথে সাথেই দেশে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভবনার তত্ত্ব বারবার তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।কিন্তু সরকার কিম্বা সাধারন মানুষ তাতে কর্ণপাত করেনি । এবার সেই ফল ফলতে শুরু করেছে । ভারতের একাধিক শহরে করোনার লামামছাড়া সংক্রমণে ইতিমধ্যে টনক নড়তে শুরু করেছে । স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭ লক্ষ ৬৭ হাজার ২৯৬। দেশে করোনায় মৃত বেড়ে ২১ হাজার ১২৯। দেশের একাধিক শহরে করোনার মাত্রাছাড়া সংক্রমণে বাড়ছে উদ্বেগ।
গত মাসেই অবসর নিয়েছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর-এর মহামারী গবেষণা বিভাগের প্রধান ডঃ রমন আর গঙ্গাখেড়কর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরাসরি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, দিল্লি ও মুম্বইয়ে যে হারে দিনে দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, তাতে দেশের ওই দুই শহরে গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ইতিমধ্যেই হয়তো রাজধানী দিল্লি ও দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে নোভেল করোনাভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিকে রাজ্যেও করোনা পরিস্থিতি যে আরও ভয়াবহ রূপ নিতে চলেছে, প্রশাসনের অতি সক্রিয়তা দেখে অনেকেই অনুমান করতে পারছেন । আজ বিকাল থেকেই শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় কড়া লকডাউন । সেখানে বাশ দিয়ে এলাকা ঘিরে দেওয়া ছাড়াও পুলিশ প্রশাসন থেকে বারবার মাইকে ঘোষণা এবং প্রচার চালানো হচ্ছে । যদিও এখনও দেশের এক শ্রেনির মানুষের মধ্যে কোন প্রকার ভাবাবেগ দেখা যাচ্ছে না ।