বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সংস্থা সিইএসসি’র বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পাঠানো নিয়ে এবার রীতিমত হুঙ্কার ছাড়লেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে । সাফ সাফ মন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, সিইএসসির বিরুদ্ধে শেষ দেখে ছাড়বেন, কোনভাবেই ছেড়ে কথা বলা হবে না ।
রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে এমনই একজন ব্যাক্তি যাকে নিয়ে দলের সঙ্গে থেকে থেকেই তাঁর মতবিরোধ কিম্বা থেকে থেকে নানা সময়ে তাঁকে নিয়ে দলবদলের গুঞ্জনও ওঠে। সেই সাধনবাবুকে ঘিরে শাসক দলকে যখন নানা সময় বিড়াম্বনার মুখে পড়তে হয়, ঠিক তখনই সাধনবাবুই এবার হয়ে উঠতে চলেছেন রাজ্য সরকারের অন্যতম বলভরসা। কারণ আমজনতার ভোগান্তি এড়াতে রাজ্য সরকারকে কার্যত এবার যুদ্ধ করতে নামতে হবে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সংস্থা সিইএসসি’র বিরুদ্ধে। আর সেই যুদ্ধটাই শুরু করতে চলেছে সাধনবাবুর হাতে থাকা ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর ।
দেশজুড়ে টানা লকডাউনে জেরবার হয়ে গেছে মানুষ, তার উপর আমফানের ক্ষয়ক্ষতি আছে । এর উপর সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সংস্থা সিইএসসি’র বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ক্রমশ অসন্তোষ দানা বাধতে চলেছে । সাধারন মানুষের পাশাপাশি রাজ্যসরকারও সিইএসসির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন । নিজের চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে স্বয়ং বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে ।
বৃহত্তর কলকাতায় বিদ্যুত্ পরিষেবার দায়িত্ব সিইএসসি’র হাতে তুলে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। তাই রাজ্যের পক্ষে একতরফা ভাবে সেই দায়িত্ব থেকে সিইএসসিকে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। আবার হাতের কাছে এই মহুর্তে এমন কোনও বিকল্প সংস্থাও নেই যাদের এই হাতে এই পরিষেবার দায়িত্ব তুলে দিতে পারা যাবে। একই সঙ্গে রাজ্যের বিদ্যুত্ ক্ষেত্রে এমন কোনও আইন নেই যা দিয়ে এখন আমজনতার বাড়িতে বাড়িতে যে অস্বাভাবিক হারে বিদ্যুতের বিল আসছে তা প্রতিরোধ করা যাবে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিইএসসিকে সতর্ক করেছেন, তবুও অনেক আইনজ্ঞই বলছেন রাজ্য সরকারের পক্ষে সিইএসসি’র বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া কার্যত সম্ভবই নয়।
এই রকম অবস্থায় রাজ্য সরকার সিইএসসি’র বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ঠুকতে পারে। এই রকম অবস্থায় একমাত্র খোলা রাস্তা রয়েছে গ্রাহকেরা যদি এই বিল নিয়ে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা দায়ের করেন সিইএসসি’র বিরুদ্ধে। সেই মামলায় জবাব দিতে বাধ্য সিইএসসি। এমনকি সেই আদালত যদি সিইএসসি’র বিরুদ্ধেও কোনও পদক্ষেপ নেয় বা কোনও রায় দেয় সেটাও মেনে নিতে বাধ্য সিইএসসি। তাঁরা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যেতেই পারে। কিন্তু এই রাজ্যে সেই ধরনের মামলায় ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের হারের নজিরও কার্যত নেই বললেই চলে। ঠিক এই রকমই অবস্থায় এক কদম এগিয়ে সিইএসসি’র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে দিলেন দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। তাঁর নির্দেশে সিইএসসিকে নোটিস পাঠাচ্ছে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষাদপ্তর । এই নোটিসের উত্তর দিতে বাধ্য সিইএসসি।