বর্তমান সময়কে জানা এবং ভবিষ্যতের জন্যে তা ধরে রাখাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সমসাময়িক অর্থনীতি-রাজনীতি-শিক্ষা-সংস্কৃতির চিত্র মানুষের চিন্তা-ভাবনা, নিকট অতীতের কথা-এগুলো জানা, জানানো এবং ভবিষ্যতের ইতিহাস-গবেষণার জন্যে সংরক্ষণের কাজটা করে সংবাদপত্র, পত্রিকা বা প্রকাশনাগুলো। প্রাচীন রোমে সরকারের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হত। সেটা ধাতু বা পাথরে খোদাই করে জনসমাগম হয় এমন জায়গায় টাঙ্গিয়ে দেওয়া হত। সংবাদপত্র প্রকাশের ধারাবাহিকতায় বাংলায় অসংখ্য পত্রিকা প্রকাশ হয়েছে আবার তা বন্ধ হয়ে গেছে। যে কোন পত্রিকা প্রকাশনার থাকে অনেক স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের কোনটি পূর্ণ হয় আবার হয় না। বাংলাদেশের অন্যতম বিভাগীয় শহর খুলনা। এ শহর থেকে প্রকাশ হত দৈনিক খুলনাঞ্চল পত্রিকা। এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন মিজানুর রহমান মিল্টন। যিনি একই সাথে ‘চলন্তিকা যুব সোসাইটি’ নামে একটি এনজিও এর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
ঢাকা সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম স্কোয়াডের এস.আই অলোক চন্দ্র হালদার বাদি হয়ে নড়াইলের কালিয়া থানায় চলন্তিকা যুব সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. খবিরুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক মো. সারোয়ার হুসাইন সাবেক গণ সংযোগ কর্মকর্তা খুলনাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক মিল্টন, এনজিও কর্মকর্তা মিলন দাস, সজল দাস এবং প্রনব দাসসহ ১৬জনকে আসামি করে (অজ্ঞাত অনেকে) মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত চলন্তিকা যুব সোসাইটি নামে একটি এনজিও গ্রাহকদের কাছ থেকে নড়াইলের ৫টি, বাগেরহাটের ২টি এবং খুলনার ৩টি শাখা থেকে ৩১ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪০ টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে দ্বিগুন ও তিনগুন মুনাফার লোভ দেখিয়ে ডিপিএস এবং এফডিআর-এর নামে গ্রহণ করে।
১০ জুন খুলনাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক ও চলন্তিকা যুব সোসাইটির তিন কর্মকর্তার জামিন না মঞ্জুর এবং তিন দিনের রিমান্ড হয়। ধারাবাহিকতায় দৈনিক খুলনাঞ্চল পত্রিকার প্রকাশনা আজ থেকে বন্ধ হয়ে গেল। দৈনিক খুলনাঞ্চল পত্রিকার ই-পেপার, ওয়েব সাইট ও ছাপা প্রকাশনা সব গুলিই আজ থেকে বন্ধ।