সুভাষচন্দ্র বসু বাঙ্গালীর একটি স্বপ্ন, বাঙ্গালীর একটি আকাঙ্খা। তার মৃত্যু রহস্যে ঘেরা। তার মৃত্যুকে জানার জন্য সমস্ত বাঙ্গালী সহ সকল ভারতীয় উন্মুখ। আজাদ হিন্দ ফৌজ ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ছোটবেলা থেকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
সর্বাধিনায়ক সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন ও মৃত্যুর রহস্য নিয়ে সৃজিত মুখার্জি নির্মাণ করেছেন সিনেমা ‘গুমনামী’। এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন কলকাতার বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভারতের স্বাধীণতা দিবসে নেতাজির রুপে হাজির হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। স্বাধীনতা দিসব উপলক্ষে ইউটিউবে প্রকাশ পেয়েছে ‘গুমনামী’র টিজার। হুবহু নেতাজি রূপে হাজির হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন প্রসেনজিৎ।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে জানা যায় , ‘গুমনামী’ সিনেমার জন্য বেশ ঝুঁকি নিতে হয়েছে প্রসেনজিৎ’কে। ওজন বাড়ানো থেকে মেকআপ সবকিছুতেই প্রচুর ঘাম ঝরিয়েছেন তিনি। সিনেমাটির জন্য প্রায় তিন ঘণ্টা পরিশ্রম করে অর্থোডেনটিস্ট ও প্রস্থেটিক দিয়ে প্রসেনজিৎ’কে নেতাজির চেহারা এনে দিয়েছেন মেকআপ শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডু।
টিজার প্রসঙ্গে সৃজিত বলেন, নেতাজি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি এবং এখনও বেঁচে আছেন। এই কথা ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। এখনও সেই চর্চা অব্যাহত। তার মৃত্যু আজও রহস্য। সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার সময় যে অনুভূতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি আশা করবো সিনেমাটি দেখার পর দর্শকেরও সেই একই উত্তেজনা হবে। দুর্গা পূজাতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘গুমনামী’। প্রসেনজিৎ ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও তনুশ্রী চক্রবর্তী।
শোনা যায়, ১৯৭০ সালের দিকে ভারতের উত্তর প্রদেশে আর্বিভাব ঘটে গুমনামী বাবার। কারো কারো মতে, এই বাবাই ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এই ধারণার উপর ভিত্তি করেই সিনেমাটির চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছে। সৃজিত অঞ্জু ধর ও চন্দ্রচূড় ঘোষের লেখা ‘কোনানড্রাম’ বই থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘গুমনামী’ নির্মাণ করেছেন।